বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার জন্য টার্গেট ছিল ২০২১ সাল। আমরা কয়েক বছর আগেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। এ জন্য সারাদেশ আনন্দ-উল্লাসে মেতেছে। আমাদের এই অর্জনে সারাবিশ্ব অভিনন্দন জানিয়েছে। বিএনপির উচিত ছিল সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তা না করে তারা বিষোদ্গার করেছে। এটা বিএনপি নেতাদের মানসিক বিকৃতি।
শুক্রবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জন উপলক্ষে সরকারের উৎসব আয়োজন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের একটা অর্জনে বিএনপি নেতারা সরকারকে অভিনন্দন জানাতে যদি লজ্জা পান, তাহলে জাতিকে একটা অভিনন্দন জানাতে পারতেন।
উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র পাওয়ায় সাত দিনের উৎসব করছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেজার শো ও আতশবাজি প্রদর্শনী। এর সমালোচনায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘সরকারের এ উৎসবের কর্মসূচী এক বিকৃত তামাশা। উন্নয়নের নামে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে আওয়ামী লীগের যে কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে।’ এর জবাবে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারা এ দেশের উন্নয়নকেও মেনে নিতে পারবে না- এটাই স্বাভাবিক।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির চিন্তা হলো কীভাবে তারা নিজের উন্নয়ন করবে, কীভাবে তারা নেতাদের উন্নয়ন করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের চিন্তা হলো দেশের মানুষকে নিয়ে। দেশের মানুষ কীভাবে ভাল থাকবে সেটা নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনকল্যাণ করা। বিএনপি নেতাদের বিকৃত মানসিকতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এটা জাতির জন্য একটি বড় পাওয়া। জাতির এই অর্জনে শোভাযাত্রা হবে- এটাই স্বাভাবিক। অথচ এটা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে বিএনপি বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। আসলে দেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারছে না বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পরও বিএনপি অভিনন্দন জানানোর পরিবর্তে সমালোচনা করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি ওয়াশিংটন পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সহায়তা বন্ধ করার জন্য। যারা জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য কংগ্রেসম্যানদের চিঠি দিয়েছেন। যাদের নেতৃত্বে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি সেই বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’য়ের কাছ থেকে নির্বাচনের আগে উৎকোচ গ্রহণ করেছিল বিএনপি। যা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানের আদালতে জবানবন্দীতে বেরিয়ে এসেছে, যা আদালতের জবানবন্দীতে রেকর্ড আছে। সেই দল দেশের অগ্রগতিতে যে খুশি হতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: