স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে ফুটপাথ দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। শুধু হকার নয়, সরকারী সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলেও রয়েছে রাজধানীর ফুটপাথ। ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরী বলে মত দিয়েছেন নগরবিদরা।
রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মিরপুর, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাথ দখল করে হকাররা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। ফুটপাথ! পায়ে চলার পথ। অথচ এই পথের অনেকটাই রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের দখলে। এমনিতেই গাড়ির চাপ তার ওপর ফুটপাথ দখল। দখলমুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের অভিযানে কাজ হচ্ছে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের।
ফার্মগেটের তেজগাঁও কলেজের সামনের চিত্র আরও ভয়াবহ। এখানে ফুটপাথ দখল করে গড়ে উঠেছে, চায়ের দোকান, খাবার হোটেল, ফলের দোকান এবং কাঁচাবাজারও। পান্থপথ মোড়ে ফুটপাথ দখল করে তৈরি করা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের বক্স। পাশাপাশি ফুটপাথের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে টেলিফোনের লাইনবক্স থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান বলেন, ফুটপাথ হচ্ছে জনগণের চলার জন্য। কিন্তু ফুটপাথের সুবিধা পথচারীরা পান না। ফুটপাথ মেরামত করা হয় না। তদারকিও হয় না। ফলে নগরবাসী প্রচুর ভোগান্তিতে পড়ছেন।
নগরবিদ মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যে শহরে জনগণ আনন্দের সঙ্গে হাঁটতে পারে, সে শহর হচ্ছে সভ্য শহর। সভ্য শহর বানানো খুব সহজ, শুধু নিয়মতান্ত্রিক অবস্থায় সবকিছু নিয়ে আসা। অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের সঙ্গে এর পরিকল্পনাতেও ঘাটতি আছে। শুধু উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাথ দখলমুক্ত করার পর ফের যাতে বেদখল না হয় সেজন্য নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: