ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যাত্রী ওঠা-নামায় ঢাকা দক্ষিণে অত্যাধুনিক ৩০ বাস স্টপেজ হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৪ মার্চ ২০১৮

 যাত্রী ওঠা-নামায় ঢাকা দক্ষিণে অত্যাধুনিক ৩০ বাস  স্টপেজ হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে বাস স্টপেজের কোন তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলা ও নামানোর চিত্র প্রতিদিনের। যেসব জায়গায় বাস থামার কথা নয়, তবুও সেখানে বাস থামছে। যাত্রী উঠছে, নামছেও। এভাবে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। কর্মস্থলে যেতে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ নির্ভর করে গণপরিবহন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় গণপরিবহনে ওঠার জন্য। বাস আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বাসে ওঠার যুদ্ধ। যে কারণে বাস চালক ও হেলপাররা যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামানোর কাজ করেন। আর যেখানে-সেখানে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠান ও নামানোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে সড়কে। যততত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামানোর ক্ষেত্রে সৃষ্ট যানজটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাজধানীর গণপরিবহনে যাত্রী ওঠা-নামার সুবিধা বাড়াতে ৩০টি অত্যাধুনিক বাস স্টপেজ/বাস- বে নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসি’র মেগা প্রকল্প অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এমন অত্যাধুনিক বাস স্টপেজে নির্ধারিত স্থান থেকেই বাসে ওঠা-নামা করা যাবে, থাকবে উন্নত ফুটপাথ, ওয়াইফাই, টি-স্টল, বিশুদ্ধ খাবার পানি, মোবাইল ফোন চার্জের ব্যবস্থা। প্রকল্পটির বিষয়ে ডিএসসিসি’র ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব খাদেম বলেন বলেন, যাত্রী ওঠা-নামার জন্য অত্যাধুনিক এমন ৩০টি বাস স্টপেজ নির্মাণ হলে যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামায় কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা ফিরবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে আরও কিছু বেশি সময় লাগতে পারে। জানা গেছে, ডিএসসিসির অন্তর্ভুক্ত এলাকাকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে এই অত্যাধুনিক বাস স্টপেজ/বাস-বে নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে আজিমপুর রুটে নির্মাণ করা হবে ছয়টি, একই রুটের বিপরীত পাশে আরও ছয়টি। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী, পল্টন, শাহবাগ পান্থকুঞ্জ রুটে তিনটি। একই রুটের বিপরীত পাশে তিনটি। মগবাজার-মালিবাগ থেকে গুলিস্তান সদরঘাট রুটে থাকবে ছয়টি। এই রুটের বিপরীত পাশেও ছয়টি বাস স্টপেজ নির্মাণ হবে। প্রতিনিয়তই রাজধানীতে যানজট বাড়ছে। যানজটের বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের এক জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) বলছে, ঢাকা শহরের বর্তমান যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে বছরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, অঙ্কের হিসেবে তা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। তিন রুটে পরিচালিত জাইকার এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকায় গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ১৯ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। এ ছাড়া ঢাকার তিন করিডোরে গণপরিবহনে যাতায়াতের জন্য গড়ে ৭৭ মিনিট করে সময় লাগে। যার ২৪ শতাংশ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা, ৪৪ শতাংশ পরিবহনে ওঠা-নামা ও পরিবহন পরিবর্তনে এবং ৩২ শতাংশ সময় পরিবহনে চলন্ত অবস্থায় ব্যয় হয়।
×