ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বেশিরভাগ নিরাপত্তা ক্যামেরাই অচল

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৮

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বেশিরভাগ নিরাপত্তা ক্যামেরাই অচল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় লাগানো বেশিরভাগ নিরাপত্তা ক্যামেরাই অচল। কোথাও চুরিও হয়ে গেছে সিসি ক্যামেরা। বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ বলছে, এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারি আরও তৎপর হচ্ছেন তারা। অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সময়ে অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়ার বিকল্প নেই। শুধু ক্যামেরা স্থাপন করলেই চলবে না, এগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। সম্প্রতি রাজধানীর দক্ষিণ মহাখালী এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় এক ব্যবসায়ীকে। ঘটনাস্থলে ছিল চারটি নিরাপত্তা ক্যামেরা। ঘটনার পর পুলিশী অনুসন্ধানে দেখা যায় সবগুলো ক্যামেরাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন। হয় হত্যাকা-ের আগে এগুলোর সংযোগবিচ্ছিন্ন করেছে অপরাধীরা। না হয় আগে থেকেই অকার্যকর ছিল। তবে হত্যাকা-ের দু’দিন পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় আবারও নতুন করে স্থাপন করা হচ্ছে নিরাপত্তা ক্যামেরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে রয়েছে নিরাপত্তা ক্যামেরা। তবে কোনটির নেই সংযোগ। কোনটিতে রয়েছে ক্যামেরার বাইরের কাঠামো তবে উধাও ভেতরের ডিভাইস। এছাড়া ক্যামেরা বসানো হয়েছে যে জায়গায় সেখান থেকে মানুষের গতিবিধিও নজরে আসে না ভালভাবে। গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কিছু কিছু ক্যামেরা আছে অনেক পুরোনো। যে কোন সময় কিন্তু সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট হতে পারে। এগুলো পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।’ অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার অপরাধী ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে। কিন্তু এই প্রযুক্তির সুফল পাওয়া যাবে তখনই যখন এর রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারি যথাযথভাবে হবে।’ অপরাধ বিজ্ঞানী শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘প্রযুক্তির সুবিধা পেতে হলে, যে উদ্যোগগুলো দরকার তা না করলে টাকাগুলো অপব্যয় হবে।’ রাজধানীকে নিরাপত্তা ক্যামেরার আওতায় আনতে জাইকার সহায়তায় ২০০৮ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যে যে’কটি অপরাধের জট খুলেছে তার বেশিরভাগই ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপিত ক্যামেরার ফুটেজ।
×