ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দর নগরীতে ঘটছে ভয়ঙ্কর সব কিশোর অপরাধ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৮

বন্দর নগরীতে ঘটছে ভয়ঙ্কর সব কিশোর অপরাধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কিশোর অপরাধ যেন কমছেই না। প্রথমে স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা, এরপর পুলিশের ওপর গুলি এবং সবশেষ টাকার জন্য অপহরণ। একের পর এক ভয়ঙ্কর সব কিশোর অপরাধ ঘটছে নগরীতে। বিশিষ্টজনদের মতে, কথিত বড় ভাইয়ের নিয়ন্ত্রিত গ্রুপ বা গ্যাং কালচারের কুফল এটি। যা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্পট কেন্দ্রিক নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের দাবি কিশোর অপরাধ ঠেকাতে প্রয়োজন পারিবারিক-সামাজিক অনুশাসন ও অভিভাবকদের সচেতনতা। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জামালখানে গেলো ১৬ জানুয়ারি খুন হয় স্কুল শিক্ষার্থী আদনান ইসফার। এ হত্যাকান্ডের পরই বেরিয়ে আসে কিশোর গ্যাং নিয়ে ভয়ানক সব তথ্য। কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে নানা স্তরে কাজ করছে প্রশাসন। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় এতেও থামেনি কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। যার উদাহরণ গেলো ১৬ ফেব্রুয়ারি ষোলশহরে পুলিশের এক এসআইকে গুলি করা এবং ১১ মার্চ সদরঘাট থানা এলাকায় সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি। যাতে জড়িত সবাই কিশোর। প্রথমে পাড়া মহল্লায় আড্ডা বাজি, স্কুল কামাই, রাস্তায় বখাটেপনা এবং পরে ধীরে ধীরে গ্রুপ করে ভয়ঙ্কর সব অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া। এই হচ্ছে কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার বর্তমান চিত্র। এছাড়া কথিত বড় ভাই কেন্দ্রিক গ্রুপ নিয়ন্ত্রণও অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে কেবল আইন প্রয়োগ নয়, পারিবারিক-সামাজিক অনুশাসন এবং সচেতনতা বাড়ানো গেলে এ প্রবণতা অনেকাংশে কমে আসবে বলে মত কিশোর অপরাধ নিয়ে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তাদের। পুলিশের অনুসন্ধান অনুযায়ী বন্দরনগরী কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা শতাধিক।
×