ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ম্যানগ্রোভ বাগান দখল করে স্থাপনা ॥ নীরব বন বিভাগ

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৮

ম্যানগ্রোভ বাগান দখল করে স্থাপনা ॥ নীরব  বন বিভাগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৩ মার্চ ॥ এবার ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গোলবাগান দখল করে সেখানে সেমি পাকা স্থাপনা তোলা হচ্ছে। কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট বালিয়াতলী লঞ্চঘাট এলাকায় এমন স্থাপনা তোলা হচ্ছে। অথচ বনবিভাগ কিছুই জানে না। দেখা গেছে, অন্তত ৫০ বছরের পুরনো ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছইলা-কেওড়া ও গোলগাছের বাগান রয়েছে ছোট বালিয়াতলী লঞ্চঘাট এলাকায়। সেখানে বাগানের মধ্যের গাছ কেটে চারদিকে বেড়া দিয়ে তারপরে একটি সেমি পাকা স্থাপনা তুলছেন স্থানীয় নুর সায়েদ ফরাজী। সে ওই গোলমহলের জায়গা নিজের দাবী করে এই স্থাপনা তুলছেন। অথচ কয়েক যুগ আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই জমিতে গোলবাগান করা হয়েছে। যার দেখভাল করে আসছে বনবিভাগ। ফি বছর ওই গোলপাতা কাটার জন্য বনবিভাগ ইজারাও দেয়। স্থানীয়রা জানান, বালিয়াতলী বন বিভাগের ফরেস্ট গার্ড মোঃ কবির এই বিষয়টি জানলেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কোন বাধা দিচ্ছেন না। এ কারণে স্থাপনা তুলে এখন গোলগাছের মধ্যেই সীমানা দেয়াল করা হচ্ছে। গাছ কেটে এসব করা হয়েছে। ব্যবসায়ী নুর সায়েদ ফরাজী জানান, ক্রয় সূত্রে তিনি ওই জামির মালিক। গোলবাগানের মধ্যে না নিজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করছেন। ফরেস্টের লোকজন এসে কাজ বন্ধ করতে বলায় এখন কাজ বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু ম্যানগ্রোভ প্রজাতির নিজের বাগানের গাছ কাটলেও বনবিভাগের অনুমতির প্রয়োজন তা আছে কি না কোন উত্তর মেলেনি। এ ব্যাপারে ফরেস্ট গার্ড মোঃ কবির জানান, গোলমহলের ৬৫ ফুট জায়গা তাদের। তাই স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, বালিয়াতলীতে থাকার পরে কীভাবে ফরেস্ট গার্ড এসব জানেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। বন বিভাগের মহীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, তিনি বিষয়টি জানার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন। কেউ অবৈধ স্থাপনা তুললে কিংবা বন বিভাগের গাছের ক্ষতি করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×