ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনে সরকার আশাবাদী’

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৪ মার্চ ২০১৮

‘২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনে সরকার  আশাবাদী’

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর দিনটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনে সরকার আশাবাদী। আমরা যদি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে এ স্বীকৃতি মিলবে। শুক্রবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় তিনি আরও বলেন, ‘রুয়ান্ডা গণহত্যার তুলনায় ২৫ মার্চের গণহত্যা কম হয়নি। কাজেই এই দিনটিই আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন যুক্তিযুক্ত। সারা বিশ্বে ৯ আগস্ট গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হলেও সেটি পাল্টে ২৫ মার্চ করতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য জাতিসংঘে দেন দরবার করছে বাংলাদেশ। গণহত্যা শুরুর এই দিনটিতে শহীদদের স্মরণে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনে দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বাংলাদেশে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হবে দিবসটি। ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির দাবিতে আগামী ২৫ মার্চ আর রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট বিদ্যুত বন্ধ রেখে ‘ব্ল্যাক আউট’ পালনের ঘোষণা এসেছে। একই সঙ্গে দাঁড়িয়ে লাইট বন্ধ করে সারাদেশের মানুষ একসঙ্গে নীরবতা পালন করা হবে। বাংলাদেশে চালানো পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যা অন্য যেকোন দিনের গণহত্যার চেয়ে অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী ও জঘন্য। ফলে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আর এই স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টায় গত বছরের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সঠিকভাবে উপস্থাপনের কারণেই পয়লা বৈশাখ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের দেশে পাকিস্তানী বাহিনী যে বর্বরতম হত্যা চালিয়েছে তা যদি তুলে ধরতে পারি তাহলে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাব।’ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বলে থাকেন যে, স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক হত্যা করা হয়েছে এ তথ্যটি সঠিক নয়। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলেন, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে প্রকারান্তরে স্বাধীনতার বিপক্ষেই কথা বলেন।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
×