ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ২৪ মার্চ ২০১৮

পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম। চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার এবং মিরপুর সিটি কর্পোরেশন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সব ধরনের সবজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহ পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে মানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ ঘুরে সেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। লেবুর দাম বেড়ে হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া করলা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়া বেগুন (কালো) ৪০ টাকা ও বেগুন (সাদা) ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ও ঢেড়শ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া দেশী পেঁয়াজ ৪০-৪৫ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ কিছুটা কমে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফকিরাপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা খালেক জনকণ্ঠকে বলেন, শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এখন দাম বাড়ছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কমলে দাম কমে আসবে। তিনি বলেন, গরম পড়ায় বাজারে এখন করলা ও পেঁপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে দুটি সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১২-১৪ টাকায়। এছাড়া আমদানিকৃত রসুন ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল এখন ৪৩-৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল ও মিনিকেটের মতো সরু চাল ৬০-৭০, পাইজাম ও লতা মাঝারি মানের চাল ৪৮-৫৬ ও স্বর্ণা ও চায়না ইরির মতো মোটা চাল ৪৩-৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আটা ২৬-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারে সয়াবিন লুজ ৮৫-৮৮ টাকায় প্রতিলিটার, বোতলজাত পাঁচ লিটার ৪৮৫-৫২৫, পামওয়েল লুজ ৭০-৭২, পামওয়েল সুপার ৭৩-৭৫, মসুর ডাল কানাডা তুরস্ক মোটা দানা ৬০-৭০, ডাল উত্তম মানের নেপালী ১১০-১২০, এ্যাংকর ডাল ৫০-৫৫, ছোলা ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩৫, দেশী মুরগি প্রতিপিস ৩৫০-৩৮০, গরুর মাংস ৪৫০-৪৮০ টাকা প্রতিকেজি, খাসি ৭০০-৭৫০ এবং প্রতিপিস ইলিশ মাছ ৪০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যমতে, দু একটি বাদে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব জাতের মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বড় আকারের প্রতিকেজি রুই মাছ ২৩০-২৮০, কাতল ২৫০-৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৫০, সিলভারকার্প ১৫০, তেলাপিয়া ১৮০, দেশী জাতের শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। কাপ্তান বাজারের মাছ বিক্রেতা সুনীল জানান, বাজারে দেশী জাতের মাছের সরবরাহ ভাল। এছাড়া ইলিশ মাছও আসছে। সব মিলিয়ে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে ইলিশ মাছের দাম। একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে ইলিশ মাছের চাহিদাও রয়েছে।
×