ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তানভির আহমেদ

স্টাইলিশ হ্যাট

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৩ মার্চ ২০১৮

স্টাইলিশ হ্যাট

মূলত সেনাবাহিনীদের থেকেই পোশাক অনুষঙ্গ হিসেবে হ্যাটের যাত্রা শুরু। প্রথমদিকে এটি ছিল শুধুই প্রতীকী পোশাক। প্রতীকী অনুষঙ্গ হিসেবে তা জাহাজের ক্যাপটেনদেরও পরতে দেখা যেত। পরবর্তীতে প্রয়োজনের তাগিদে হ্যাটের বিশেষ ব্যবহার দেখা যায় রাখাল বালকদের মধ্যে। এভাবে হ্যাট সমাজের প্রভাবশালীদের নজরে আসলে ধীরে ধীরে বিস্তার ঘটে জনসাধারণে। আর ফ্যাশনে তার রয়েছে বৈচিত্র্যতা। বিশ্বের সব রকম হ্যাটের ব্যবহার আমাদের দেশে না থাকলেও দেখা মেলে বহুল প্রচলিত কয়েকটির। কিছু পশ্চিমা দেশে আঠারো শতকের শুরুর দিকে প্রথম প্রচলন ঘটে বেরেট নামের হ্যাটের। কিন্তু সারা বিশ্বে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠিয়েছে চে গুয়েভারা। বিপ্লবী প্রতীক বেরেট ছড়িয়ে পড়েছে ফ্যাশনেও। ছেলেদের ক্যাজুয়াল, ভিন্টেজ, রাফ লুকের সঙ্গে খুবই মানানসই এই হ্যাট। ফেডোরা হ্যাটের প্রচলন বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশেও দেখা যায় ফেডোরা। একটু ফরমাল কাটের ফেডোরা পরা যায় বিভিন্ন ক্যাজুয়াল এবং মার্জিত পোশাকের সঙ্গে। ক্যাজুয়াল শার্ট, প্যান্টের সঙ্গে খুব সহজেই মানিয়ে নেয়া যায় ফেডোরা। প্রায় এই কাছাকাছি স্টাইলের আরও কয়েকটি হ্যাটের নাম পানামা, বোলার ও ডেরবি। যারা ফাঙ্কি লুক পছন্দ করেন তাদের জন্য বিশ্বব্যাপী কাউবয় হ্যাটের রাজত্ব। একটু বড় আকারের হওয়ায় এই হ্যাট ভ্রমণ, ঘোরাঘুরির জন্য বেশি মানায়। স্রেফ কাউবয় গেটআপ বাদেও কেউ চাইলে টি-শার্ট, কার্গো প্যান্ট ড্রেসআপের সঙ্গেও নিতে পারেন হ্যাট। মাঝারি গড়নের এবং খুবই ছিমছাম দেখতে হোমবার্গ হ্যাট। শুধু ফরমালে ব্যবহারের জন্য জুড়ি নেই হোমবার্গের। ফরমাল বলতে তা ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, কোট, টাই, পাইপার টাইপের ফরমাল বোঝায়। তবে বাংলাদেশের বাজারে খুব বেশি দেখা যায় না এ ধরনের হ্যাট। রাজধানীর বিভিন্ন লোকাল মার্কেটে পাওয়া যায় রকমারি হ্যাট। তবে এর বাইরে দুই-তিনটি ফ্যাশন হাউজে দেখা যায় হ্যাটের কয়েক পদ। বেরেটসহ বিভিন্ন হ্যাটের কোয়ালিটি এবং ফিনিশিংয়ের ওপর নির্ভর করে দেখা যায় দামের ভিন্নতা। লোকাল মার্কেটের দোকানগুলোতে বেরেট পাওয়া যায় ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। অন্যান্য হ্যাট পাওয়া যাবে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে হ্যাট মিলবে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ছবি : নাঈম ইসলাম
×