ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নশীল দেশে ওঠার যোগ্যতা অর্জন

সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৩ মার্চ ২০১৮

সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করায় সারাদেশে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারী-আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। এ সময় বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।-খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদাতা চট্টগ্রাম স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করায় সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও বৃহস্পতিবার শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, চউক, বন্দর এবং বিভিন্ন সরকারী-আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ছিল আনন্দ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনটি অতিবাহিত হয় নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ও যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি প্রদান করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে সকালে শোভাযাত্রা বের করা হয়। চবি শহীদ মিনার চত্বর থেকে এ শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, হলসমূহের প্রভোস্ট, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নগরী ও জেলার সকল সরকারী, আধাসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল কলেজে দিনটি উদ্যাপিত হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের উপস্থাপন, শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। খুলনা বৃহস্পতিবার শিল্প নগরী খুলনায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৯টায় নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহীদ হাদিস পার্ক পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসানসহ মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন, ডিআইজি অফিস, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বৃহস্পতিবার সকালে শোভাযাত্রা বের করা হয়। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নানান বাদ্য-বাজনা নিয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিশাল এই শোভাযাত্রাটি পরে রাজশাহী কলেজে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার নূর উর রহমান, জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের, মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান, পুলিশের রাজশাহী রে“উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী, জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সুপার জুলফিকার আলী হায়দার, জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নেন। এ দিকে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলাদা শোভাযাত্রা বের করা হয়। রংপুর বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বিভাগীয় প্রশাসন, মেয়রের নেতৃত্বে রংপুর সিটি কর্পোরেশন, ডিআইজি’র নেতৃত্বে বিভাগীয় পুলিশ, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন রংপুর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক সংগঠন, সকল বিভাগ প্রতিষ্ঠান, দফতর, সংস্থা নিজ নিজ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মুরালে পু®পস্তবক অর্পণ করে। র‌্যালিটিতে সরকারের উন্নয়ন সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করা হয়। পরে রংপুর জিলা স্কুলের মোড় হতে পায়রা চত্বর হয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা টাউন হল পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এসে শেষ হয়। স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঐতিহাসিক সাফল্যকে প্রতিপাদ্য করে রংপুর টাউন হলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বিভাগ কাজী হাসান আহম্মেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদ, সাধারণ স¤পাদক এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ স¤পাদক তুষার কান্তি ম-ল প্রমুখ। যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী জনবান্ধব বিভিন্ন সেবা প্রদান ও উৎসব কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এ আনন্দ শোভাযাত্রায় যশোরের সকল সরকারী ও বেসরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী ও জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। কালেক্টরেট চত্বর থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে বাদ্যের তালে তালে শুরু হওয়া এ শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কালেক্টরেট চত্বরে এসে শেষ হয়। বেলুন- ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে সরকারের সাফল্য ও উন্নয়ন ভাবনা কর্মসূচীর আওতায় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। বগুড়া বৃহস্পতিবার দিনটি ছিল খুব আনন্দের। সকাল দশটার মধ্যে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাক ঢোল বাজিয়ে আনন্দের র‌্যালি সমবেত হতে থাকে জিলা স্কুল মাঠে। মুহূর্তেই মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরই ব্যান্ডের তালে আনন্দের শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের। জেলা প্রশাসনসহ প্রতিটি সরকারী অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী সংস্থা, পেশাজীবী সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কেউ বাদ ছিল না এমন আনন্দের শোভাযাত্রায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের উন্নয়নের ব্যানার ফেস্টুন বহন করে। এক কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ শোভাযাত্রা নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের সময় পথের দুই ধারের পথচারী ও হাজারও মানুষ করতালি দিয়ে ও হাত নেড়ে অভিনন্দন জানায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে। এতে সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটি শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র নায়ার কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ। পঞ্চগড় বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচ উপজেলা থেকে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে পঞ্চগড় সুগার মিল মাঠে এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে শতাধিক মোটরযানের মোটর শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় সরকারী-বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, এনজিও প্রতিনিধি এবং সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও গ্রামবাংলার লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাচ্চু, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত স¤্রাট, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মির্জা আবুল কালাম দুলাল। নারায়ণগঞ্জ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নগরীর চাষাঢ়া থেকে চাঁনমারীর জেলা প্রশাসন কার্যালয় পর্যন্ত এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোঃ রাব্বি মিয়া, পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন প্রমুখ। একই উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমন্বয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি বেলা ১১টায় স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়কে বেলা পৌনে ১২টায় প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এছাড়াও মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। বন্দর উপজেলা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পেশাজীবীসহ বন্দর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ শত শত লোকের শোভাযাত্রা বের হয়। মুন্সীগঞ্জ বৃহ¯পতিবার সকালে শহরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও আনন্দ মিছিল বের হয়। যা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে আলোচলা সভায় আরও অংশ নেন সরকারী হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মীর মাহফুজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক জামাল হোসেন প্রমুখ। নীলফামারী বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারী হাইস্কুল মাঠ থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই র‌্যালিতে সরকারী- বেসরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার দশ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। র‌্যালিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ মমতাজুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে জেলার অপর ছয় উপজেলায় অনুরূপ কর্মসূচী পালনের খবর পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জ বৃহস্পতিবার আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ‘সোনার বাংলা সোনার দেশ, উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’, ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’, ‘আজকের এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়া হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন আয়োজিত শোভাযাত্রায় সংরক্ষিত নারী এমপি দিলারা বেগম আসমা, জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ আফজল, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, এডিসি সার্বিক তরফদার মোঃ আক্তার জামিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, র‌্যাব, সরকারী বিভিন্ন দফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। ঝিনাইদহ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে এক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে ফিরে এ আলোচনা সভায় মিলিত হয়। র‌্যালিতে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী- বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। পরে পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সেখানে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, এডিএম আসাদুজ্জামান প্রমুখ। জামালপুর বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুর সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল দশটায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজ রোড, নয়াপাড়া পাঁচ রাস্তা মোড় হয়ে পুনরায় কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী। শোভাযাত্রা শেষে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকারকে ধারণ করেই আজকে বাংলাদেশ উন্নত দেশের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। হবিগঞ্জ বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার নারী-পুরুষ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে র‌্যালি ও বিশাল সমাবেশে এমপি আলহাজ মোঃ আবু জাহির, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর, পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা, হপবিস’র জিএম মোঃ সোলায়মান মিয়া, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরিফিনের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরকে এক অপরূপ নান্দনিক রূপ ঘটিয়ে দেয়। নাটোর বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কানাইখালী স্টেডিয়াম মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলেজ অডিটরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিভিন্ন সরকারী অফিস, বেসরকারী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুনীরুজ্জামান ভুঁইয়াসহ সরকারী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শেরপুর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা কালেক্টরেট ভবন অঙ্গনে র‌্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। র‌্যালিতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও প্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সরকারী-বেসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ সম্পর্কে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলী। ভোলা বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশাল এই র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় র‌্যালিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, ভোলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। গাইবান্ধা বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রাটি পুনরায় স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস এবং সরকারী সকল বিভাগ, ব্যাংক, বীমার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, এনজিও, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ক্যাব গাইবান্ধা জেলা কমিটি, গাইবান্ধা পৌরসভা পৃথক পৃথক ব্যানারে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে। ঠাকুরগাঁও আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, এলজিইডি, খাদ্য বিভাগসহ সরকারী- বেসরকারী দফতর ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানান পেশা ও বয়সের অসংখ্য মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান, পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ আবু মোঃ খয়রুল কবির। উপজেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচী পালন করা হয়। নওগাঁ বৃহস্পতিবার নওগাঁয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জিলা স্কুল মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ধরে ব্রিজের মোড় হয়ে পুরনো কালেক্টরেট ভবন চত্বরের মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক এমপি র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন। পরে সেখানে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। দেশের উন্নয়ন, উন্নয়নের ধারক বর্তমান সরকার এবং সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হামিদুল হক, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গণি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব এবং সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মৃণাল কান্তি দেব, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে। মাদারীপুর বৃহস্পতিবার সকালে আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে। আনন্দ র‌্যালিটি স্বাধীনতা অঙ্গন থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে স্বাধীনতা অঙ্গনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা ইউনিট কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার। অন্যদিকে শিবচর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা চত্বর থেকে আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারী- বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। আনন্দ র‌্যালিটি পৌর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ৭১ চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ রেজাউল করিম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। টাঙ্গাইল বৃহস্পতিবার আনন্দ উৎসব পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ হতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমসহ সরকারী-বেসরকারী সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা জনতা বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে পৌর উদ্যানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝালকাঠি বৃহস্পতিবার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকম-লী এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার বিশ্বনাথ সাহা আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। একই সময় উদ্বোধন ঝালকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এর পূর্বে সকাল ১০টায় ঝালকাঠি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে।
×