অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত আড়াই মাসে বাজারে টানা পতনের কারণে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। বুধবার অর্থমন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছিল। এই প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংক মেনে নিলেই পুঁজিবাজার প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করছেন বিএমবিএ’র সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী। ডিবিএ ও বিএমবিএ’র যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বুধবার অর্থ মন্ত্রাণালয়ে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর, বিএসইসির চেয়ারম্যান ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে ডিবিএ’র প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠান হয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়ার আহ্বান জানান হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আহসান উল্লাহ, বিএমবিএ’র সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, ডিবিএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন এবং সহ-সভাপতি ড. জহির।
এই দাবি জানান হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) বাধ্যবাধকতার বাইরেও নতুন করে ২০১৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বিত ভিত্তি গণনা করার বিষয়টি আরোপিত হয়েছে। এতে বাজারে তারল্য প্রবাহের ক্ষেত্রটি সঙ্কোচিত হয়েছে। এমন অবস্থায় ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬ (ক) ধারা অনুসারে একক/ সলো ভিত্তিতে এক্সপোজার গণনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) এর ২৬ (ক) ধারায় প্রযোজ্য সব সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য অনুর্ভুক্ত করার বিধান আছে। তবে যেসব সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য নেই তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত না করা বা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন বন্ড ডিবেঞ্চার প্রিফারেন্সিয়াল শেয়ার ও অতালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে ব্যাংকের এক্সপোজের হিসাবের বাইরে রাখা। কৌশলগত বিনিয়োগ, যা পুরো মেয়াদকাল পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে এবং যে সব সিকিউরিটিজের লেনদেন হয় না। সেই সব সিকিউরিটিজকে এক্সপোজার গণনা থেকে বাদ দেয়া। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর এক্সপোজার লিমিট গণনা করার ক্ষেত্রে শেয়ারের বাজার মূল্য অনুযায়ী গণনা না করে ক্রয় মূল্যের ভিত্তিতে গণনা করা।
