ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল ট্র্যাজেডি

শেষ তিনজনের মরদেহ নিয়ে গেলেন স্বজনরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৩ মার্চ ২০১৮

শেষ তিনজনের মরদেহ নিয়ে গেলেন স্বজনরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আলিফুজ্জামান, পিয়াস রায় ও নজরুল ইসলামের লাশ নিয়ে গেছেন তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে নিহত ২৬ বাংলাদেশীর লাশ আনা হলো দেশে। এর আগে ২৩ জনকে আনা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সর্বশেষ তিনজনের লাশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের লাশ নিয়ে যান স্বজনরা। আলিফুজ্জামানের লাশ নেন তার বোন খাদিজা খাতুন। পিয়াস রায়ের লাশ নেন তার বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায়। আর নজরুল ইসলামের লাশ গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম। স্বজনরা জানান, আলিফুজ্জামানের লাশ খুলনায় ও নজরুল ইসলামের লাশ রাজশাহী উপশহরে সমাহিত করা হবে। আর পিয়াস রায়ের শেষকৃত্য হবে বরিশালে। পিয়াসের এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা ফল দেখা হলো না ॥ নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াস রায়ের এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশের আগেই তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার সহপাঠীরা এমন আফসোস জানিয়ে বলে, পিয়াস ফল দেখে যেতে পারেননি। পিয়াসের বন্ধু জাফর বলেন, পিয়াস অনেক এ্যামবিশিয়াস ছেলে ছিল। অনেক ভাল ছাত্র ছিল। ঘুরতে খুব পছন্দ করত। পরীক্ষা শেষ করেই নেপাল চলে গেছে। আমি জানতাম না। পরদিন ফেসবুকে চেক ইন দেখলাম, সে নেপাল যাচ্ছে। দুর্ঘটনার পর জানতে পারলাম, সে একই ফ্লাইটে ছিল। শারমিন জানান, আমরা পরীক্ষা দিয়ে যার যার বাড়ি চলে গেছি। পিয়াস নেপাল যাবে জানতাম। এই ফ্লাইটে যাবে জানতাম না। সে অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল। বরিশাল বোর্ডে এসএসসিতে প্রথম হয়েছিল। মেডিসিন নিয়ে পড়তে চেয়েছিল। আর হলো না। লাশ প্রথমে নেয়া হবে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হবে। বরিশাল শহরের শ্মশানে তার শেষকৃত্য হবে। গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ আরোহী নিয়ে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশীসহ ৪৯ জন নিহত হন। নিহত ২৬ বাংলাদেশীর মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ গত ১৯ মার্চ দেশে আনা হয়। আহত ১০ বাংলাদেশীর মধ্যে সাতজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন দিল্লীতে। দু’জন সিঙ্গাপুরে।
×