স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড বরাবরই ঘরের মাটিতে দুর্বার। উপমহাদেশীয় সুপার পাওয়ার ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা তো বটেই, প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়াকেও সেখানে খাবি খেতে দেখা যায়। অথচ সেই কিউইরাই হোম কিংবা এ্যাওয়ে গত ১৯ বছরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোন সিরিজ জিততে পারেনি। কেন উইলিয়ামসনের দল এবার ব্যর্থতার ইতিহাসটা বদলে দিতে চায়। অন্যদিকে অতীত সাফল্য ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী জো রুটের ইংল্যান্ড। এ্যাশেজ ভরাডুবির পর এই সিরিজে তারা দলে পাচ্ছে তুখোড় অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে। অকল্যান্ডে বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় শুরু দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এটি আবার দু’দলের মধ্যকার ইতিহাসের প্রথম ডে-নাইট টেস্ট। একদিকে এ্যালিস্টার কুক, রুট, স্টোকস, স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস এ্যান্ডারসন, বিপরীতে উইলিয়ামসন, রস টেইলর, টম লাথাম, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি। লড়াই জমবে বেশ।
১৯৩০ সাল থেকে টেস্ট সিরিজ খেলছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। দ্বিপক্ষীয় লড়াই শুরুর পর ২০টি সিরিজে কোন জয় পায়নি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ২০ সিরিজের ১৫টি জিতে নেয় ইংলিশরা। ৫টি হয় ড্র। ১৯৮৪ সালে নিজ মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে আবারও সিরিজ জিতে নেয় কিউইরা। এরপর আবারও থমকে যায় নিউজিল্যান্ডের জয়রথ। কারণ এরপর পাঁচটি সিরিজের মধ্যে ৪টিই জেতে ইংল্যান্ড। তবে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও টেস্ট সিরিজ জিতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। এরপর আজ অবধি সাতটি সিরিজের মধ্যে কোনটিতেই জিততে পারেনি কিউইরা। এর মধ্যে ৪টি জিতে ইংল্যান্ড, ৩টি হয় ড্র। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে সিরিজ জিততে পারছি না আমরা। এটি খুবই হতাশার একটি রেকর্ড। নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের সাম্প্রতিক ব্যর্থতাই এবার আমাদের জন্য সুযোগ। ইংল্যান্ড সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে (এ্যাশেজ) অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাজেভাবে হেরেছে। তাই তারা চাপে থাকবে। তাদের হারাতে আমাদের সামনে এটাই সেরা সুযোগ।’
অন্যদিকে অতীত সাফল্য ধরে রাখতে চায় ইংলিশরা। সফরকারী অধিনায়ক রুট বলেন, ‘রেকর্ড দেখলে বুঝা যায়- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের সাফল্য বরাবরই ভাল। এবারও সেটি ধরে রাখতে হবে। আমরা চাই কিউইদের বিপক্ষে ভাল ক্রিকেট খেলতে এবং সিরিজ জিততে। সেটি করতে পারলে রেকর্ড আরও সমৃদ্ধি হবে। তবে আমাদের জন্য কাজটি সহজ হবে না। টেস্ট সিরিজে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তবে আশা করছি সতীর্থরা ভাল পারফর্মেন্স করতে পারবে। কারণ অতীত রেকর্ড আমাদের সাহস ও আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।’ গত বছর ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। তবে এ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে এখানে খেলতে হবে ইংল্যান্ডকে। তারপরও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জয় (৩-২) সঙ্গে রয়েছে তাদের। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এখানে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৮টি ডে-নাইট টেস্টের ৭টিতেই জিতেছে স্বাগতিক দেশ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: