ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সমস্যায় জর্জরিত সৈয়দপুর নার্সারি কেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২২ মার্চ ২০১৮

সমস্যায় জর্জরিত সৈয়দপুর নার্সারি কেন্দ্র

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ২১ মার্চ ॥ বন্যায় বিধ্বস্ত সীমানা প্রাচীর, জরাজীর্ণ কোয়ার্টার আর জনবল সঙ্কটে সৈয়দপুর সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বেহাল দশা। এতে মাদকসেবী ও অপরাধীদের অবাধ বিচরণসহ এ কেন্দ্রটির আওতাধীন সামাজিক বনায়ন পড়েছে হুমকিতে। জানা যায়, রংপুর বন সম্প্রসারণের অধীনে ১৯৮৪ সালে সৈয়দপুর শহরের কুন্দল স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ২ একর জমির ওপর সৈয়দপুর সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে। এতে নিয়োগ দেয়া হয় ১১ জন জনবল। স্টাফ ও কর্মকর্তাদের জন্য নির্মাণ করা হয় ৪ টি স্টাফ কোয়ার্টার ও একটি কর্মকর্তা কোয়ার্টার। স্থানীয়দেরও সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে শুরু হয় নার্সারি গড়ার প্রশিক্ষণ। উদ্যেক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে বনাঞ্চল গড়া হয়। সংরক্ষিত বনাঞ্চল না থাকায় বিভিন্ন সড়ক ও জনপথের নিজস্ব বাগান, ব্যক্তি মালিকানায় কৃষি বন বাগান, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে কৃষি, মৎস্য, পশুসম্পদ ও বন অধিদফতরের সমন্বিত বাগান গড়া হয়। স্থানীয় উদ্যেক্তাদের নিয়ে প্রায় ২ শত কিলোমিটারে সামাজিক বনায়নে লাগানো হয় চারা। তবে দিন-দিন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ায় জনবল সঙ্কটে এর অনেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চার দশকে ৩টি মালি ১ রেঞ্জ কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীসহ ৫টি কোয়ার্টার জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে গত বছর শহর রক্ষা বাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ায় এ কেন্দ্রের প্রায় দেড় শত ফুট প্রাচীর ধসে পড়ে। এতে প্রভাব পড়ে পুরো কেন্দ্রের কার্যক্রম ও স্টাফদের মাঝে। এমনকি জনবল সঙ্কটে তৈরি বাগানের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই। এতে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা দিন-রাতে বন উজার করছে। আর এভাবে প্রায় চার দশক ধরে জরাজীর্ণভাবেই চলছে বনায়ন কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম। সরেজমিন দেখা যায়, সৈয়দপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন সামাজিক বনসম্প্রসারণ ও নার্সারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দৈন্যদশা। গত বছরের বন্যায় এর প্রায় ১০ উচু সীমানা প্রাচীরটি প্রায় দেড়শত ফুট ধসে পড়ে। বহিরাগতরা গরু-ছাগল নিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে। খোলামেলা পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছে স্টাফরা। কোয়ার্টারগুলোর পলেস্তারা খসে প্রায়ই দিনই আহত হন মালিসহ অন্যন্য বসবাসকারীরা। আর দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও উর্ধতনরা এগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নি। এ কেন্দ্রের মালি মোঃ আসলাম জানান, প্রাচীর ধসে পড়ায় নিরাপত্তাহীনতায় উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি বিবাহযোগ্য কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে। পাশাপাশি স্থানীয় মাদকসেবী ও অপরাধীরা যখন-তখন প্রবেশের কারণে সবসময় পাহারা দিতে হয়।
×