ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুবিধা না পেয়ে আইপিও বাতিলে চিঠি

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২২ মার্চ ২০১৮

সুবিধা না পেয়ে আইপিও বাতিলে চিঠি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে আমান কটন ফাইবার্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সম্প্রতি বুক বিল্ডিংয়ের আইপিওয়ের মাধ্যমে নিলামে দর নির্ধারণের পরও সংগঠনের পক্ষ থেকে বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। তবে সংগঠনের সভাপতি মিজান উর রশীদ চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিককালে ৫২টি কোম্পানির বাজার মূল্য ইস্যু মূল্যের নিচে চলে এসেছে। তাই অতি মূল্যায়িতভাবে আইপিও বাজারে আসছে বলে মনে সংগঠন। নায্যমূল্যে বাজারে আইপিও অনুমোদনের জন্য কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। সেখানে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার কোন কিছু নেই। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কারণে দাবি জানিয়েছেন। কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক তার নামে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোম্পানির কাছ থেকে কোন অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হয়নি। নিলামের মাধ্যমে নির্ধারিত কাট অব প্রাইস বেশি মনে হওয়ায় কমিশনে চিঠি দিয়েছি। যার কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত ২০১০ সালে ভয়াবহ ধসের সময় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত হয় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এর নেতৃত্বে রয়েছে মিজান-উর রশীদ চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেই মূলত বেশি অভিযোগ রয়েছে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া কোম্পানির। তবে সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি বলেন, সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অনৈতিক সুবিধা নিলে তার প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রমাণ পেলে সংগঠন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগে জানা গেছে, রোড শো অনুষ্ঠানের পর থেকেই আমান ফাইবার্সের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বারবার তিনি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু নিলাম অনুষ্ঠানের পরও কোন সাড়া না পেয়ে তিনি গত ১৮ মার্চ বিএসইসিতে কোম্পানিটির আইপিও বাতিলের জন্য চিঠি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমান কটনের সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, ঐক্য পরিষদের আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করায় তিনি করা প্রকার হয়রানি করার হুমকিও দিয়ে আসছিলেন। এরই অংশ হিসেবে কোম্পানিটির আইপিও বাতিল চেয়ে বিএসইসিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চিঠি দেয়া হয়েছে। একইভাবে অনুমোদন পাওয়া এক বসুন্ধরা পেপার নামের আরও একটি কোম্পানির কাছ থেকে স্পন্সরশিপ চাওয়া সংগঠনের পক্ষ থেকে। এই কারণে কমিশনে আইপিও বাতিলে চিঠিও দেয়া হয়। কমিশনের শুনানি শেষে কোম্পানির আইপিও বহাল থাকে। কোম্পানিটির সচিব বলেন, আইপিও পাওয়ার পর কাট অব প্রাইস নির্ধারণ করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। পাবলিকের হাতে এখনও শেয়ার আসেনি, তবুও তারা বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষার নামে চাঁদা দাবি করছে। এটা বন্ধে জোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
×