চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর আজীবন ক্ষমতায় থাকা নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা এই মর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন যে, এটি হবে মানবাধিকারের কফিনে শেষ পেরেক এবং ডিজিটাল পুলিশী রাষ্ট্রের সূচনা। এএফপি।
২০১২ সালে শি জিন পিং-এর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চীন সরকার নাগরিক অধিকারের সব ধরনের পথ সঙ্কুচিত করে আনে। চীনের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে প্রশাসন নতুন নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটায়।
চীনা প্রশাসন জনগণের সদাচরণ নির্ণয়ের জন্য মুখের মনোভাব বোঝার কৌশল হিসেবে সোশ্যাল ক্রেডিট পদ্ধতি চালু করেছে। এ প্রসঙ্গে চীনের মানবাধিকার কর্মী ও কবি ইয়ে ডু বলেছেন, এখন থেকে চীন উচ্চ প্রযুুক্তির একচ্ছত্র ক্ষমতার বলয়ে প্রবেশ করল যাতে এর নাগরিকতা মনস্তাত্ত্বিকভাবে এক কঠোর চাপের মধ্যে থাকবে। জনমনে এই চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে চীনের কম্যুনিস্ট পার্টি মেঘলা প্রযুক্তি, নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ও অন্যান্য আরও কলাকৌশল প্রয়োগ করবে।
২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা ছাড়ার ধারা বিলুপ্ত করে পার্লামেন্টে আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার যে বিধান শি জিন পিং পাশ করিয়ে নিলেন তা পার্লামেন্টকে রাবার স্ট্যাম্প- এ পরিণত করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: