ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ হাবিব উল্লাহ

মাতৃভাষার মর্যাদা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২২ মার্চ ২০১৮

মাতৃভাষার মর্যাদা

বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে মাতৃভাষার প্রতি ভালবাসার প্রমান দিয়েছে বাঙালী জাতি, অথচ আজ বাংলা ভাষার দৈন্য-দশা। রেডিও-টিভিতে প্রচার মাধ্যমে বিকৃতভাবে প্রচারিত হচ্ছে বাংলা ভাষা- এটা নিতান্তই দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছে- সবার কাছে বাংলা ভাষাকে অতি উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে, অথচ দেশে সংবাদ মাধ্যমে বাংলা ভাষার বিকৃত উচ্চারণ ও উপস্থাপনা দেশের সুধী মহলকে নিরাশ, হতবাক, বিস্মিত ও দুঃখিত করেছে। কতিপয় উপস্থাপক, টক-শোতে কিছু অংশগ্রহণকারীর বিকৃত উচ্চারণ বাংলা ভাষার মর্যাদা অনেক ক্ষুণœœ করেছে অথচ এই ভাষার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে- এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর সব দেশের ও জাতির নেই। মাতৃভাষা দিবসটি আজ সারা বিশ্বে মহা গৌরবের সঙ্গে পালিত হচ্ছে- এটা বাঙালীদের জন্য কম গৌরবের কথা নয়। সঠিক উচ্চারণ ভাষার জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা ভাষায় কথা বলতে গিয়ে যদি কেউ মাতৃভাষাকে বিকৃত করে উচ্চারণ করে তবে সেটা সহ্য করা যায় না। বিশুদ্ধ উচ্চারণে মন প্রফুল্ল হয় আর বিকৃত উচ্চারণ হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে - তাই গণমাধ্যমে কথা বলার সময় বিষয়টি ভালভাবে খেয়াল রাখা দরকার। টক-শোতে বাংলা ভাষার কদর্য উচ্চারণ কে মেনে নিবে? আবার উপস্থাপনের সময় উপস্থাপকও যদি বিকৃত ভাবে উচ্চারণ করে তবে সেটাতো কেউ মেনে নেবে না। ফেব্রুয়ারি মাস এলে ভাষার জন্য আমরা রাজপথে শোভাযাত্রা করি অথচ বহু কষ্টে অর্জিত সেই ভাষার স্বীকৃতিকে ভুল উচ্চারণের মাধ্যমে মুহূর্তেই ধুলিসাৎ করে দেই। আর নয় বাংলা ভাষার ভুল আর কদর্য উচ্চারণ, কারণ কোন কিছুরই জগা-খিচুড়ি ভাল নয়। রোমান হরফে বাংলা ভাষার লিখন ও উচ্চারণে আমরা বাধা দিয়ে সফল হয়েছি। এখন তো আর সে অবস্থা বিরাজমান নেই- তবে কেন ভুল উচ্চারণে বাংলা ভাষা বলব? শুদ্ধ উচ্চারণেই বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাইরের কোন দুষণীয় জিনিস এই ভাষাতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বাংলা ভাষা আমাদের কাছে একটা পবিত্র আমানত- যে কোন মূল্যে এর পবিত্রতাকে রক্ষা করতে হবে। কিছু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ব্যক্তির কাছে এই ভাষা জিম্মি হতে পারে না। অষ্ট প্রহর এদেরকে পাহারা দিতে হবে তারা যেন এই মহান ভাষাকে কলুষিত করতে না পারে। লেক সার্কাস, কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×