ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নদীতে জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২১ মার্চ ২০১৮

নদীতে জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২০ মার্চ ॥ উপকূলীয় জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ। গত কয়েক দিন ধরে জেলেদের জালে ইলিশ পড়ায় জেলে পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে। এ দিকে ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় ইলিশ প্রেমীরা কমদামে ইলিশ মাছ খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর দিচ্ছে। নদীতে মাছ পড়তে শুরু করায় জেলেরা উদ্যোম উৎসাহ নিয়ে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। মাছ বিক্রির টাকায় সংসারের অভাব-অনটনের বোঝা হালকা হতে শুরু করেছে। স্থানীয় প্রবীণ জেলেদের অভিমত এ বছর একুশ দিন মা ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনের তদারকি ও জেলেদের সচেতনতার কারণে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া নদীর উপকূলবর্তী বাউফল উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে উপজেলা মৎস্য অফিসে ৬ হাজার ৪শ’ ৮০জন নিবন্ধিত জেলে তালিকাভুক্ত হলেও মূলত এর সংখ্যা কয়েকগুণ। উপজেলার মূল খ- থেকে বিচ্ছিন্ন চরবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় পনের হাজার, যার অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন নদীতে মাছ ধরে। নদীতে যখন মাছ থাকে তখন নি¤œ আয়ের এই মানুষগুলোর আনন্দের সীমা থাকে না। তখন তাদের পল্লীতে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রবীণ জেলে বাদশা মাঝি জানান, চার সপ্তাহ ধরে নদীতে প্রচুর ইলিশ পড়ছে, জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকার করছে। তরে ইলিশের সাইজ খুব একটা বড় না। ৬শ’ থেকে ৭শ’ গ্রামের ইলিশের সাইজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। বাদশা মাঝির অভিযোগ, কিছু অসাধু জেলেরা নদীতে প্রকাশ্যে বাধা জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, বিন্দি জালসহ নানা প্রকার অবৈধ জাল দিয়ে নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করেন, এ সমস্ত জালে মাছের রেণু পোনা থেকে শুরু করে সকল সাইজের মাছ ধরা পড়ে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ জাল নদীতে ফেলা বন্ধ করতে পাড়ে তাহলে এই তেঁতুলিয়া নদী হবে দেশের অন্যতম মৎস্য ভা-ার। উপজেলার বাণিজ্যিক বন্দর কালাইয়ার ভাই ভাই মৎস্য আড়তের মালিক অমর দাস বলেন, সম্প্রতি ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম অনেক কম। ৬শ’ থেকে ৭শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ৫শ’ থেকে সারে পাঁচ শ’ টাকা। তবে বড় সাইজের কোন মাছ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।
×