ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাসের দাম আবার বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২১ মার্চ ২০১৮

গ্যাসের দাম আবার বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ধকল সামলাতে আবারও বাড়ছে গ্যাসের দাম। মঙ্গলবার বিকেলে বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। গড়ে ৭০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিটি। আজ বুধবার সব থেকে বেশি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে জমা দেবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জ¦ালানি বিভাগ বলছে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সকল গ্যাস বিতরণ কোম্পানিকে দর বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানান, আবাসিকে ছাড়া অন্য সকল খাতেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে আবাসিক গ্রাহকের আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলএনজি আমদানি আরও বৃদ্ধি করা হলে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেবে তারা। সেই হিসেবে আবাসিক গ্রাহকদের দুই চুলার গ্যাসের দাম এক হাজার ৬০০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হবে। গতবার সরাসরি দুই চুলার দাম ৬০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছিল বিতরণ কোম্পানি। তখন কমিশন ৯৫০ টাকা যা নির্ধারণ করে দেয়। যদি কমিশনের আদেশের পর উচ্চ আলাদালত দ্বিতীয় ধাপে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এখন ৮০০ টাকাই রয়েছে দুই চুলার গ্যাসের দাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের শেষ বছরে এসে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবার সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে এলএনজি বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এলএনজি আসলে কমদামে গ্যাস দেয়া সম্ভব নয়। আগামী ১ মে থেকে দেশে এলএনজি আমদানি শুরু হচ্ছে। শুরুতে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আনা হলেও পর্যায়ক্রমে এর সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে। নিজস্ব সাগর এবং স্থলভাগে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের ধীর গতির কারণে এখন এলএনজি আমদানির বিকল্পও দেখছে না সরকার। এরপর দেশের কোম্পানির টাকা অলস পড়ে থাকলেও বহুজাতিক কোম্পানিকে ব্যবসার সুযোগ দেয়াতে আমদানি ব্যয় আরও বাড়ছে। আর ব্যয়ের বোঝা সরাসরি গ্রাহকের ওপর চাপাতে জ¦ালানি বিভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে গত নবেম্বরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সময় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান বলেছিলেন, শুরুতে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি বিদ্যুত উৎপাদনে দেয়া হলে গড় বিদ্যুত উৎপাদনের খরচ বাড়বে না। এতে করে বিদ্যুত উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না।
×