স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশে উড্ডয়নের ১৮ মিনিটের মধ্যে আবারও ঢাকায় জরুরী অবতরণ করার পর অবশেষে বিমানের ফ্লাইটই বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ড্যাশ-৮ মডেলের বিজি-৪৯৩ উড়োজাহাজটির দুপুর ১২টায় উড্ডয়নের সিডিউল ছিল। তবে উড়োজাহাজটি দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের ১৮ মিনিটের মধ্যে অর্থাৎ দুপুর ১২টা ৪৬ মিনিটে যাত্রীদের প্রাণ রক্ষার্থে ঢাকায় জরুরী অবতরণ করে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য কেন্দ্র থেকে একজন অপারেটর বলেন-উড্ডয়নের ১৮ মিনিট পর ফ্লাইটটি ১২টা ৪৬ মিনিটে ফিরে আসে। এটি জরুরী অবতরণ কি-না এ বিষয়ে আমরা বলতে পারছি না। বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, ইঞ্জিনে ‘প্রেসারজনিত সমস্যার’ কারণে ফ্লাইটটি ঢাকায় ফেরত আনেন পাইলট। ওই ফ্লাইট ৭৪ জন যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিল। এর ১৫ মিনিট পর এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে পাইলট সৈয়দপুর না গিয়ে ঢাকায় ফিরে যায়।
ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত বিমানবন্দরেই আটকে ছিল। যাত্রীদের অন্য কোন ফ্লাইটে সৈয়দপুর পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। তবে রাত ৭টা ২০ মিনিটে নতুন সিডিউল দেয়া হলেও সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট রাতে খোলা রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়ায় অবশেষে বিমানের ফ্লাইটই বাতিল করা হয়।
গত তিন মাসে ৩টি উড়োজাহাজ যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে। মঙ্গলবার জরুরী অবতরণ করা এই উড়োজাহাজটি এখন হ্যাঙ্গারে নিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। কবেনাগাদ এটি উড্ডয়নযোগ্য হবে সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি বিমান কর্তৃৃপক্ষ।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ নেপালের কাঠমা-ুর ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রাণ গেছে ৫১ যাত্রীর। পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ার কারণে নিহতদের কয়েকজনের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। যাদের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে সোমবার বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে তাদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
