ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুমন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল ও জনি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২০ মার্চ ২০১৮

সুমন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল ও জনি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাকরি না দেয়া ও পাওনা টাকা ফেরত না দেয়ার জের ধরে সুমন শিকদারকে খুন করা হয়। এই হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল আহমেদ ও জহিরুল ইসলাম জনিকে রবিবার গভীর রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এ তথ্য জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ৯ মার্চ রাতে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ উত্তর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডের ৩১ নম্বর বাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, সুমন শিকদার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী গ্রামের রহমান শিকদারের ছেলে। ইসলামিক নিউজ বিডি নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক ছিলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, ঘটনার তদন্তে জানা গেছে, সুমন শিকদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করত। তিনি সুমন ফয়সালকে নিজের পোর্টালে লভ্যাংশসহ চাকরি দেয়ার কথা বলে ৪/৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে লভ্যাংশ তো দূরের কথা চাকরি না দেয়ায় তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। ফয়সাল পাওনা টাকা দাবি করলে সুমন টালবাহানা শুরু করে। এ অবস্থায় টাকা না পেয়ে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফয়সাল। যুগ্ম কমিশনার জানান, ফয়সাল অপর গ্রেফতারকৃত জনির সঙ্গে যোগসাজশ করে গত ৭ মার্চ সুমনের অফিসে যান। সেখানে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়া হয়। চা পান করে সুমন ঘুমিয়ে পড়লে ফয়সাল ও জনি প্রথমে তাকে শ্বাসরোধ ও পরে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর মরদেহ খাটের নিচে রেখে কম্পিউটার ও মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সন্ধ্যায় পুলিশ সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে। ওদিনই যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ফয়সাল ও জনিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয় বলে জানান যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
×