ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জয়বাংলা স্লোগান দেয়ায় ছাত্রকে মারধর ॥ প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১৯ মার্চ ২০১৮

জয়বাংলা স্লোগান দেয়ায় ছাত্রকে মারধর ॥ প্রতিবাদে  বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৮ মার্চ ॥ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেওয়ার অপরাধে ভোলা সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে তার শিক্ষক বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবীতে রবিবার দুপুরে ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে আজ জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায়ও ব্যাপক আলোচনা ও নিন্দা জানানো হয়। আহত ছাত্রের অভিভাবকসহ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা জানান, ভোলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে প্রশাসনের আয়োজনে শহরে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি বের হয়। ওই র‌্যালিতে ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ সময় বাংলা স্কুল মোড়ে ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আশিক মাহমুদ অন্য ছাত্রদের সঙ্গে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতে থাকে। এতে করে শরীরচর্চার শিক্ষক মোমিন মুন্সী ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাথায় ও কানে জোরে চড়থাপ্পড় মারে। এমনকি তাকে লাথি দিয়ে আহত করে নিজেই মাটিতে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী কানে ও মাথায় ব্যথা পায়। এ সময় তার ঘড়িটি ভেঙ্গে যায়। র‌্যালি শেষে স্কুলে গেলে তাকে নাস্তা পর্যন্ত দেয়া হয়নি। পরবতীর্তে ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে টিসি দেয়া হবে বলেও বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে স্কুলের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত শরীরচর্চা শিক্ষক মোমিন মুন্সী জানান, র‌্যালিতে ওই ছাত্র বিশৃঙ্খলা করায় তাকে শাসন করা হয়। তবে জয় বাংলা শ্লোগান দেয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ তা সত্য নয়। তিনি বলেন, এক সময় তিনি ছাত্রলীগ করতেন বলেও দাবি করেন। এদিকে এ ঘটনার এক দিন পর রবিবার সকালে ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শঙ্কর কুমার পাল উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেন এবং ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান। অপরদিকে দুপুরে জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উঠলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাকসুদ আলম ছিদ্দিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।
×