ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চের রোটেশন বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৯ মার্চ ২০১৮

ভোলা-ঢাকা রুটে  লঞ্চের রোটেশন  বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৮ মার্চ ॥ ঢাকা-ভোলা রুটে লঞ্চের রোটেশন প্রথাকে অবৈধ ও নিয়মবহির্ভূত উল্লেখ করে রুট পারমিট অনুযায়ী প্রতিদিন এক ঘাট থেকে ৪টি করে উভয় পাড় ঘাট থেকে ৮টি লঞ্চ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার ভোলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। সচেতন যাত্রী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে গত প্রায় ৪ মাস আগে ব্যবসায়ী রুহুল আমিন কুট্টি ভোলা-ঢাকা রুটে রুটেশন প্রথা বন্ধের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য লঞ্চ মালিকদের রুটেশন প্রথা বন্ধের দাবিতে জেলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মানববন্ধনসহ আন্দোলন করে আসছিল। সুশীল সমাজসহ সাধারণ যাত্রীরা এই রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য দাবি জানান। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম মোর্শেদ কিরণ জানান, মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ থেকে প্রতিদিন ৮টি লঞ্চকে চলাচলের জন্য রুট পারমিট দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রতিদিন ৪টি লঞ্চ ভোলা জেলা সদরের নদী বন্দর (খেয়াঘাট) টার্মিনাল থেকে ও অপর ৪টি লঞ্চ ঢাকা জেলার সদর ঘাট টার্মিনাল থেকে ছাড়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু লঞ্চের মালিক পক্ষ এক জোট হয়ে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় প্রতিদিন এক টার্মিনাল থেকে দুটি করে ৪টি লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করছেন। এতে প্রতিদিন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লঞ্চের কেবিনের জন্য ৭ দিন আগে বুকিং দিতে হয়। জরুরী প্রয়োজনে কেউ কেবিন ও সিট পাচ্ছে না। সাধারণ যাত্রীরা লঞ্চ মালিক পক্ষের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। এসব কথা বিবেচনা করে আদালত প্রথমে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। বাদীর আবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনানির পর আদালত রোটেশন প্রথা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি মোঃ নাসিম জানান, ঢাকা-ভোলা রুটে প্রতিদিন চলাচলের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে এ সব লঞ্চ হচ্ছে, বাদ্রার্স নেভিগেশন লিমিটেডের এমভি কর্ণফুলী-৪, এমভি কর্ণফুলী-৯, এমভি কর্নফুলী-১০, এমভি কর্ণফুলী-১১ , এ রহমান এ্যান্ড সন্স কোম্পানির এমভি ভোলা ও এমভি ক্রিস্টাল ক্র্যুজ, খান ওয়াটার ওয়েব কোম্পানির এমভি শ্রীনগর-৭। এ ছাড়া রয়েছে এমভি বালিয়া। মালিক পক্ষ একজোট হয়ে ৪টি লঞ্চকে ঘাটে বসিয়ে রেখে মাত্র ৪টি দিয়ে উভয় পাড়ের যাত্রী পরিবহন করাচ্ছেন। এতে কৃত্রিম কেবিন ও সিট সঙ্কট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হলেও সঠিকভাবে যাত্রী সেবা দেয়া হতো না।
×