ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বজ্রপাতে গ্যাস রাইজারে আগুন ॥ সিলেটে দগ্ধ হয়ে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৯ মার্চ ২০১৮

বজ্রপাতে গ্যাস রাইজারে আগুন ॥ সিলেটে দগ্ধ হয়ে ৫ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মনাবন্দ এলাকায় একটি কলোনিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মা ছেলেসহ ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২ জন। এরমধ্যে গুরুতর আহত আচার ব্যবসায়ী ফজলুু মিয়া ও বাবুল মিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন লয়লু মিয়ার কলোনির ভাড়াটে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার খালেরমুখ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী তাসকিমা বেগম (৩২) ও তার শিশু সন্তান তাহমিদ (২), গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ নোয়াই গ্রামের সেবুল (১৮), একই উপজেলার পনাইরচক গ্রামের মছকন্দর আলীর স্ত্রী সেবু বেগম (২২) ও জিহাদ (২০)। নিহতদের মধ্যে দুই নারীই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জানা যায়, রবিবার রাত ৩টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ পাহাড় লাইনের লক্ষ্মনাবন্দ এলাকায় একটি কলোনিতে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা সময়ে রবিবার সকাল ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এর আগেই তিন কক্ষের সেমিপাকা ঘরটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লয়লু মিয়ার সেমি সেমিপাকা বাড়ির তিনটি রুমে এই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ওই রুমগুলোতে দুটি পরিবারের লোক বসবাস করত। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। গোলাপগঞ্জ থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তেলের পাইপলাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক দিনমনি শর্ম্মা জানান, রাতে এই সময় বৃষ্টিপাত ছিল। এই সময় গ্যাস রাইজারের ওপর বজ্রপাত হলে আগুন ধরে যায়। এতে তিন কক্ষের সেমিপাকা ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। নিহতের মধ্যে একজন শিশু, দুইজন কিশোর ও দুইজন নারী রয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেটের জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে এ সময় তিনি মোবাইল ফোনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে- মা-ছেলেসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তাদের দাফনের জন্য আরও তিন হাজার টাকা এবং ২ বান্ডিল টিন প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন। আহত বাবুল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
×