ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৯ মার্চ ২০১৮

পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে যে আস্থার সঙ্কট দেখা দিয়েছিল বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। দরপতন থেকে বের হয়ে সূচক বাড়ছে। টানা পতনে অনেক ভাল কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আকর্ষণীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। ফলে বিদেশীরা বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে শেয়ারবাজারে। চলতি মাসের প্রথম পক্ষে বা পনেরো দিনে শেয়ারবাজারে বিদেশীদের নিট বিনিয়োগ বেড়েছে ২০.০১ শতাংশ। এ বিষয়ে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা খুবই সচেতন। বিদেশীরা সব সময় ঝামেলা এড়িয়ে চলেন। বাজারে বিনিয়োগের আগে তারা অনেক দিক বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করেন। সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। আকর্ষণীয় মূল্যে শেয়ার ক্রয় করেন। আবার বিক্রির ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করেন। কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে পর্যবেক্ষণের পর বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছে বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীরা। তারা বাজারে শেয়ার বিক্রির চেয়ে বেশি পরিমাণে কিনছে। এতে অনেকটাই বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ। তাছাড়া বাজারের নেতিবাচক ইস্যুগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা দূর করেছে। এতে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশ আকর্ষণীয় হওয়ায় বিদেশীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে বিদেশীরা বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যার ফলে শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক। তবে বিদেশীরাও টাকা তুলে নেয়। এ জন্য দেশী বিনিয়োগকারীদেরও সময় মতো মুনাফা নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে ১১ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ ১১ দিনে বিদেশীরা মোট ৪৪৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছেন। এর আগের পক্ষে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ ১৫ দিনে বিদেশীরা মোট ৩৭২ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন করেছিলেন। সে হিসেবে দেখা যাচ্ছে আগের পক্ষের তুলনায় চলতি পক্ষে বিদেশীদের লেনদেন ৭৪ কোটি ৫৬ রাখ ১০ হাজার টাকা বা ২০.০১ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে চলতি পক্ষে লেনদেনে বিদেশীদের অংশগ্রহণ বাড়লেও গত বছরের তুলনায় বিদেশী লেনদেন কমেছে। ২০১৭ সালের (১-১৫ তারিখ) মার্চ মাসে বিদেশীরা মোট ৫৯৩ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছিল। যা চলতি পক্ষের তুলনায় ১৪৬ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার টাকা বা ২৪.৬৩ শতাংশ কম।
×