ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সবুজ পর্যটনে বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৮ মার্চ ২০১৮

সবুজ পর্যটনে বিনিয়োগের আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের ধনী দেশগুলোর পর্যটনখাতের নীতি-নির্ধারকরা এবার ‘সবুজ পর্যটনে’ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম বোর্স ২০১৮’ বা ‘আইটিবি-২০১৮’তে ‘টেকসই পর্যটনে বিনিয়োগ’ শীর্ষক আলোচনায় তারা এই আহ্বান জানান। বিশ্বের ৩৫টি ধনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জোট ওইসিডির আঞ্চলিক উন্নয়ন ও পর্যটন বিভাগের প্রধান এ্যালেন ডুপেরাস বলেন, মেক্সিকো এরই মধ্যে তাদের জ্বালানি খাতের বিনিয়োগ নীতি বদলেছে। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য সহজ শর্তে ঋণও দিচ্ছে। সারাবিশ্বে এমন অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে। পর্যটনে সবুজ বিনিয়োগকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন পর্যটনের জন্য যেসব আবাসন তৈরি করা হচ্ছে সেগুলোকে জ্বালানি দক্ষ করে গড়ে তোলা, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, পানি ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা হিসেবে। এমনকী সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষাকেও এর মধ্যে ধরেছেন তিনি। স্পেনভিত্তিক পর্যটন, জ্বালানি ও শিল্প খাতের সরকারী পরিকল্পনা প্রণয়নকারী সেগিটুরের প্রধান ফার্নান্দো দে পাবলো মার্টিন বলেন, ২০১৭ সালে স্পেনে ৮ কোটি ২ লাখ পর্যটক এসেছেন। এ খাতের আয় জিডিপির ১১ শতাংশ এবং দেশের ১৩ ভাগ কর্মসংস্থান করে দিচ্ছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রাথমিকভাবে আরও ৬ কোটি ইউরো বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন। তবে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ যেন স্থানীয় মানুষকে বাদ দিয়ে না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা জরুরী। ইউএনডাব্লিউটিও’র বিশ্ব পর্যটন ব্যারোমিটার বলছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত, এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করেছেন ৯০ কোটি ১০ লাখ মানুষ, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ কোটি বেশি। আইটিবির এ বছরের প্রতিবেদন বলছে, বৈশ্বিক পর্যায়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে তিনগুণ বেশি হারে বাড়ছে পর্যটন খাতের আয়। কিন্তু জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে মানুষের আনাগোনা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে, তা সেই জায়গার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। কার্বন নিঃসরণ কমানো, সম্পদের দক্ষ ব্যবহার ও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নবান্ধব পর্যটন খাত গড়ে তুলতে হলে ‘বিনিয়োগের’ বড় ভূমিকা আছে। ওইসিডির সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। আর তাই এবারের বার্লিন পর্যটন মেলায় এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
×