ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চৌহালীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস ॥ ৩০ মিটার বিলীন

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৮ মার্চ ২০১৮

চৌহালীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস ॥ ৩০ মিটার বিলীন

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা রক্ষায় নির্মাণাধীন নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধে শনিবার সকালে মধ্য খাসকাউলিয়া অংশে প্রায় ৩০ মিটার এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই বাঁধে শুষ্ক মৌসুমে এমন ধস স্থানীয়দের আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে । নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে যাওয়া বাঁধটি অব্যাহত ধসের কারণ বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসীসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা। তবে ধস ঠেকাতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরের পৌনে ৪ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া ৩ কিলোমিটার মিলে ৭ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকার বরাদ্দ গ্রহণ করে। এই টাকা দিয়ে ভাঙ্গন রোধে নদীর পূর্ব পাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার গত ২০১৫ সালের ২৪ নবেম্বর সংরক্ষণ বাঁধ শুরু হয়। যার ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে হঠাৎ করে যমুনায় স্রোত হীন শুষ্ক মৌসুমে চৌহালীর খাসকাউলিয়া অংশে প্রায় ৩০ মিটার জুড়ে শনিবার সকালে ধসে যায়। বাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় পাথরের বোল্ড ও জিও ব্যাগ। আকস্মিক এ ধসে এলাকা জুড়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। গতবছর প্রায় ১৫ বার এমন ভাঙ্গনে পুরো বাঁধ এখন বিপর্যস্ত। নতুন করে আবার ভাঙ্গন নির্মাণে স্লপিং কাজে অকার্যকর মাটি নিচে ফেলে ব্লক দেয়াসহ পাথরের চারপাশে ফাকা স্থানগুলো সিমেন্ট দিয়ে পূর্ণ করে না দেয়ায় পানি ঢুকে তা সাধারণ স্রোতেই সরে গিয়ে এই ধস দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। তাই কাজ নিয়ে অসন্তোষ ক্ষোভ প্রকাশ ক্ষুব্দ এলাকাবাসী। এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তারা অবহিত হয়েছেন। ধসের পরিধি ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
×