স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সুনীল নারিন। এবার পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিনারের বোলিং এ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ করেছেন আম্পায়াররা। শারজায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের এই অফস্পিনারের এ্যাকশন সন্দেহজনক মনে হয় আম্পায়ারদের। এই মুহূর্তে পরীক্ষা ছাড়াই নারিন টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে বিশেষ পর্যবেক্ষণে থাকবেন। আবার অভিযোগ উঠলে তিনি আর টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না। নারিনের বোলিং এ্যাকশনের রিপোর্ট ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে (ডব্লিউআইসিবি) পাঠাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ক্যারিয়ারে এর আগে বেশ কয়েকবার নারিনের বোলিং এ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ২০১৪ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি২০’র সময় দুইবার তার বোলিং নিয়ে সন্দেহ করেন আম্পায়াররা। বোলিং এ্যাকশন নিয়ে কাজ করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০১৫ বিশ্বকাপ দল থেকে নাম প্রত্যাহারও করে নেন তিনি। ২০১৫ আইপিএলে ফিরে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয় তার বোলিং। তার বিশেষ একটি ডেলিভারি নিষিদ্ধ হয়। নারিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন ২০১৫ সালের নবেম্বরে। কিন্তু প্রথম সিরিজেই আবার তার বোলিং এ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকি আইসিসি ওয়ানডে ও টি২০ র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর বোলার হয়েও বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। বোলিং এ্যাকশন নিয়ে কাজ করায় খেলতে পারেননি ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপে। ২০১৬ আইপিএলের আগে আবার তিনি বোলিংয়ের ছাড়পত্র পান।
৭ এপ্রিল শুরু এবারের আইপিএল। কলকাতা নাইট রাইডার্স গত মৌসুম থেকে যে দু’জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে তাদের একজন নারিন। পিএসএলে আবার নারিনের বোলিং নিয়ে অভিযোগ উঠলে কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরীক্ষায় এ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হলে আইপিএলে তার খেলাও শঙ্কার মুখে পড়ে যাবে।