ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেরেবাংলার ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৭ মার্চ ২০১৮

শেরেবাংলার ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরে যায় ২১৫ রানের ব্যবধানে। হারের পর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছিল আইসিসির এই ভেন্যুকে দেয়া ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে তার বিরুদ্ধে আপীল করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন করে পর্যালোচনার পর আইসিসি সেই আপীলের বিপক্ষে রায় দিয়ে ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল রেখেছে। চট্টগ্রামের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিরপুরে তৃতীয়দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পরই শেষ হয়ে যায় দ্বিতীয় টেস্ট। জিতে যায় লঙ্কানরা। এ ম্যাচে বোলারদের দাপটে ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। ৪০ উইকেটের ৩০টি যায় স্পিনারদের দখলে। দুই দল সবমিলিয়ে করে ৬৮১ রান। বাংলাদেশের দুই ইনিংস টিকেছে কেবল ৭৫.১ ওভার। পরে মিরপুরের পিচকে ‘গড়পড়তার নিচে’ উল্লেখ করেছিল আইসিসি। শাস্তি হিসেবে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পাশে জুটেছিল একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আপীল করেছিল বিসিবি। কিন্তু আগের সিদ্ধান্তে বহাল থাকল বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থা। আপীলের শুনানি শেষে আইসিসির মহাব্যবস্থাপক জিওফ এ্যালারডাইস ও ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনীল কুম্বলে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের রেটিংকে সঠিক উল্লেখ করেন। ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদন, ম্যাচ ও গ্রাউন্ডের ভিডিও এবং বিসিবির নিজেদের পক্ষে দাঁড় করানো যুক্তিগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নেন তারা। গত ৪ জানুয়ারি আইসিসির সংশোধিত পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী ডিমেরিট পয়েন্ট কার্যকর থাকবে ৫ বছর পর্যন্ত। এর মধ্যে একটি ভেন্যু ৫টি বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করতে পারবে না। আর ১০ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে নিষিদ্ধ হবে দুই বছর। এই মুহূর্তে মিরপুরের ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত বছর হওয়া টেস্টেও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল মিরপুর।
×