ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবাহনী, দোলেশ্বরের পর সুপার লীগে রূপগঞ্জও

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৭ মার্চ ২০১৮

আবাহনী, দোলেশ্বরের পর সুপার লীগে রূপগঞ্জও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখনও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) লীগপর্বের খেলায় প্রতিটি দলের একটি করে ম্যাচ বাকি আছে। এর আগে দশম রাউন্ড শেষে ১২ দলের এ লীগে আবাহনী লিমিটেড, প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের পর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জও সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করে নিয়েছে। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে শুক্রবার ৭ উইকেটে হারিয়ে রূপগঞ্জ তৃতীয় দল হিসেবে সুপার লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সুপার লীগে খেলবে ছয় দল। এখনও তিনটি দলের সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করা বাকি আছে। তা নিশ্চিত হবে এগারতম রাউন্ড শেষ হলেই। খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখাচ্ছে। দলটি শুক্রবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে সুপার লীগে খেলার আশা ভালভাবেই তৈরি করেছে। একইদিন ফতুল্লায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে ৭৩ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। রূপগঞ্জ-ব্রাদার্স ম্যাচ ॥ বিকেএসপির ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ব্রাদার্স যখন ৪৮.১ ওভারে ১৭৮ রান করতেই গুটিয়ে গেল, তখনই যেন রূপগঞ্জের জয়ের পথ তৈরি হয়ে গেল। ওপেনার মিজানুর রহমান (৬৩) ও ভারতের শিলিগুড়ির দেবব্রত দাস (৩১) যা একটু ব্যাটিংয়ে আলো ছড়াতে পারেন। আসিফ হাসান (৪/২৩) ও মোহাম্মদ শহীদের (৪/৪১) বোলিং তোপে বাকিদের ব্যর্থতায় ব্রাদার্সের করুণ হাল হয়। জবাব দিতে নেমে আব্দুল মজিদের অপরাজিত ৯৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৭.৩ ওভারে ১৮৩ রান করে জিতে যায় রূপগঞ্জ। মজিদ অনেক চেষ্টা করেছিলেন সেঞ্চুরি তুলে নিতে। কিন্তু ৫টি চার ও ৭টি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন। ছক্কা হাঁকিয়ে খেলাও শেষ করেছেন। ১১০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানও করেন। কিন্তু ব্রাদার্স স্কোরবোর্ডে বেশি রান জমা করেনি। তাই ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় মজিদের। তবে আসিফ যে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাতে আসিফকে ম্যাচসেরা বেছে নেয়া হয়। এই ম্যাচটি জেতায় ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে রূপগঞ্জ। আবাহনীর সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানেও আছে। খেলাঘর-মোহামেডান ম্যাচ ॥ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মোহামেডান ব্যাটসম্যান ও বোলাররা এমনই ব্যর্থ হয়েছে যে খেলাঘরের কাছে হার মানতে হয়েছে। খেলাঘর দলটিও দারুণ খেলছে। বড় দলগুলোর মধ্যে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারানোর পর মোহামেডানকেও পাত্তা দেয়নি। আগে ব্যাট করে তানভির ইসলামের (৪/৩০) স্পিন ঘূর্ণির সামনে পড়ে ৪৫.৪ ওভারে ১৮১ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় মোহামেডান। ওপেনার জনি তালুকদার সর্বোচ্চ ৫৫ রান করতে পারেন। এরপর অমিত মজুমদারের ৭৬, ভারতের রাজস্থানের অশোক মেনারিয়ার অপরাজিত ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪১.৩ ওভারে ১৮২ রান করে জিতে যায় খেলাঘর। শেখ জামাল-কলাবাগান ম্যাচ ॥ ফতুল্লায় আগে ব্যাট করে রাকিন আহমেদের ৭১, তানভির হায়দারের অপরাজিত ৬১, পিনাক ঘোষের ৪৯ রানে ৪৯.৫ ওভারে ২৬৩ রান করে অলআউট হয় শেখ জামাল। আবুল হাসান রাজু ৩ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ইলিয়াস সানির (৪/৩৬) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৭.৩ ওভারে ১৯০ রান করতেই গুটিয়ে যায় কলাবাগান। তাইবুর রহমান ও মুক্তার আলী প্রত্যেকে ৫১ রান করে করেন। স্কোর ॥ রূপগঞ্জ-ব্রাদার্স ম্যাচ, ব্রাদার্স ইনিংস ॥ ১৭৮/১০; ৪৮.১ ওভার (মিজানুর ৬৩, দেবব্রত ৩১; আসিফ ৪/২৩)। রূপগঞ্জ ইনিংস ॥ ১৮৩/৩; ৩৭.৩ ওভার (মজিদ ৯৪*, নাঈম ৩৬)। ফল ॥ রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ আসিফ হাসান (রূপগঞ্জ)। খেলাঘর-মোহামেডান ম্যাচ, মোহামেডান ইনিংস ॥ ১৮১/১০; ৪৫.৪ ওভার (জনি ৫৫, তাইজুল ৩৪; তানভির ৪/৩০)। খেলাঘর ইনিংস ॥ ১৮২/৪; ৪১.৩ ওভার (অমিত ৭৬, মেনারিয়া ৫৪*; অনিক ২/৩৩)। ফল ॥ খেলাঘর ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ তানভির ইসলাম (খেলাঘর)। শেখ জামাল-কলাবাগান ম্যাচ, শেখ জামাল ইনিংস ॥ ২৬৩/১০; ৪৯.৫ ওভার (রাকিন ৭১, তানভির ৬১*, পিনাক ৪৯; রাজু ৩/৪৫)। কলাবাগান ইনিংস ॥ ১৯০/১০; ৪৭.৩ ওভার (মুক্তার ৫১, তাইবুর ৫১; ইলিয়াস ৪/৩৬)। ফল ॥ শেখ জামাল ৭৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ রাকিন আহমেদ (শেখ জামাল)।
×