ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাপানী গবেষকদের সমীক্ষা

লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমায় ভিটামিন ডি

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৭ মার্চ ২০১৮

 লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ  পর্যন্ত কমায় ভিটামিন ডি

বেশি করে ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে, নতুন এক গবেষণায় এটি দেখা গেছে। জাপানী গবেষকরা দেখেছেন যে, সূর্যরশ্মি থেকে পাওয়া উচ্চমাত্রার ভিটামিনের জন্য লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কম হয়। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, সার্বিকভাবে ক্যান্সারের এই ঝুঁকি ২০ শতাংশ কম এবং মানুষের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি কার্যকর। ডেইলি মেইল গবেষকরা ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৩৩ হাজার ৭৩৬ জন নারী ও পুরুষের তথ্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। অংশগ্রহণকারীরা তাদের চিকিৎসার ইতিহাস, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার তথ্য সরবরাহ করেছেন। তারা রক্তের নমুনাও দিয়েছেন। যা ভিটামিন ডি’র স্তর নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের ১৬ বছরের গড় সময় ধরে ক্যান্সারের জন্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। যার মধ্যে তিন হাজার ৩০১ জনের ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়। রক্ত বিশ্লেষণের সময় বয়স, ওজন (বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই), শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা, ধূমপান, এ্যালকোহল ও ডায়েটের মতো অন্যান্য পরিচিত ক্যান্সারের ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাক্টরগুলোর পাশাপাশি সময় বিশ্লেষণ করে রক্তে ভিটামিন ডি কি পরিমাণ প্রভাবিত হয় তা দেখা হয়েছে। তারা দেখেছেন লিভার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি কমে। এই ফলাফল মানুষের ওপর বিশেষ কার্যকর ছিল। গবেষকদের মতে, ভিটামিন ডি স্তরের সঙ্গে ফুসফুস অথবা প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোন সম্পর্ক নেই। যদিও একদম শেষে এটি এই ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে না। গবেষকরা ২০১৭ সালের নবেম্বরে পরামর্শ দিয়েছে, যেসব রোগে প্রদাহ সৃষ্টি করে সেসব রোগ ভিটামিন ডি প্রতিরোধ করে। যার মধ্যে গিটে বাত অন্যতম। ভিটামিন ডি সম্পূরক ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। যা শরীরের সুস্থকোষকে জীবাণুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং অটোইমিউন অবস্থার কারণে বাতের মতো রোগকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গিটে বাত মানবদেহের জয়েন্টে ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এই গিটে বাত রোগে ভিটামিন ডি প্রদাহবিরোধী প্রভাব কাজ করবে। জয়েন্টের বেদনাদায়ক অবস্থা কমাতে একজন রোগীর ভিটামিন ডি’র সংবেদনশীলতা হ্রাস করে। গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের সম্পূরক গ্রহণ করে তারা কোন উপকার পেতে পারে না। এমনকি তা পরামর্শ দেয়ার মতো তো নয়ই।
×