প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সরকারী উদ্যোগে মাগুরায় বিভিন্ন সড়কে ২৮ হাজার মেহগনি ও নিমগাছ লাগানো হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ২ বছর মেয়াদী পৃথক দুটি প্রকল্পে বৃক্ষরোপণের এ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। যার বেশিরভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২৮ জন দুস্থ নারীকে। যা তাদের জীবনে এনেছে সচ্ছলতা।
জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার কাটাখালী-রাঘবদাইড়, চন্দ্রপ্রতাপ-পশ্চিম বাড়িয়ালা, হাজীপুর-গাংনালিয়াসহ বিভিন্ন সড়কের দু’পাশে শোভা পাচ্ছে এসব গাছ। যাদের কোনটির বয়স ১ থেকে দেড় বছর, কোনটি আবার তার চেয়েও কম। কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, নিয়মিতভাবে পরিচর্যা করে তারা গাছগুলো বড় করে তুলছেন। এ জন্য তারা প্রতিদিন ১৫০ টাকা মাসিক ৪ হাজার ৫শ’ টাকা হারে ভাতা পান। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা এসব সড়কে দায়িত্বরত থাকেন। কোন গাছ মরে গেলে নিজ দায়িত্বে তা আবার লাগিয়ে দেন। এই কাজে নিযুক্ত হওয়ার পর তাদের সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। তবে এ বছরের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এটির পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তারা চিন্তিত। এ কারণে তারা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, কেবল প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নয়, বরং পাখিরা এখানে এসে বসতে পারলে পার্শ¦বর্তী মাঠের ফসলের পোকা দমনে সহায়ক হবে এটি। সে কারণে গাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পাশাপশি স্থানীয় জনগণকে উদ্যোগী হতে হবে।
মাগুরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী আনন্দ কুমার ঘোষ জানান, এসব গাছ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যেমন ভূমিকা রাখবে। তেমনি এই প্রকল্পে নিয়োজিত দুস্থ নারী আর্থিক দিয়ে আত্মনির্ভরতার সুযোগ পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্প আরও সম্প্রসারিত হবে।
সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: