ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুর্গম চরেও পাকা-সড়ক হাসপাতাল, বিদ্যুত

কাজীপুরে এখন নানা মাত্রিক উন্নয়ন

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৭ মার্চ ২০১৮

 কাজীপুরে এখন নানা মাত্রিক উন্নয়ন

২৪ ফুট প্রশস্ত কালো পিচঢালা সড়কের পাশে দৃষ্টি নন্দন তিন তলা, দোতলা দালান। বিস্তীর্ণ সবুজ ঘেরা মাঠের মধ্যে সূর্য্যরে আলোতে এই দালানগুলো মাথা উঁচু করে অবকাঠামো উন্নয়নের বার্তা বহন করছে। প্রমত্তা যমুনার ভাঙ্গন থেমে গেছে। নদী ভাঙ্গনের শব্দ এখন আর কানে বাজে না। যমুনার ভয়াল থাবায় বিধ্বস্ত জনপদের ঘরবাড়ি এক স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেবার প্রবণতাও নেই। দুর্গম চরেও গড়ে উঠেছে পাকা সড়ক, হাসপাতালসহ নানা স্থাপনা। চরে বিদ্যুতের বাতি জ্বলে। থ্রি হুইলার যানবাহনেও যাত্রী সেবা দেয়া হয়। ইন্টারনেট, কম্পিউটার হাতের নাগালে। যমুনার ভাঙ্গন ও বন্যায় বিপর্যস্ত এক কালের বিপর্যস্ত কাজীপুরের বুক জুড়ে দৃষ্টিনন্দন দালান কোঠা গড়ে উঠেছে। সিরাজগঞ্জ থেকে কাজীপুর ৩০ কিমি দূরত্বের এই উপজেলায় যেতে ২৪ ফুট প্রশস্ত কালো পীচ ঢালা সড়কে ৫টি পাকা সেতু। সড়ক পথের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র্র করে ছোনগাছা ও ভেওয়ামারা নামক স্থানে গড়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের দৈনন্দিন বাজার। পিপুলবাড়িয়া এবং সীমান্ত বাজার নামক স্থান যেন মিনি শহর। পাড়াগাঁয়ের এই বাজারে রাত ১২টা পর্যন্ত মানুষের সমাগম থাকে। সরকারের উন্নয়ন অবকাঠামো তো অগুনতি। স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুতসহ সরকারের প্রায় সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজকর্মের জন্য নির্মিত নানা অবকাঠামো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এক পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত কাজীপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন সমতল ভূমিতে এবং বাকী ৬ ইউনিয়ন চরাঞ্চলে। তবে সমতলের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের ভবন দ্বিতল বিশিষ্ট পাকা ইমারত। প্রায় প্রতিজন ইউপি চেয়ারম্যানের রয়েছে প্রাইভেট গাড়ি। চরের মানুষের জীবনযাত্রার মান তুলনামূলক অনেক উন্নত। দুর্গম চরেও গড়ে উঠেছে পাকা সড়ক, হাসপাতালসহ নানা স্থাপনা। চরে বিদ্যুতের বাতি জ্বলে। থ্রি হুইলার যানবাহনেও যাত্রী সেবা দেয়া হয়। ইন্টারনেট, কমপিউটার হাতের নাগালে। একদা কাজীপুরের মানুষ সিরাজগঞ্জ শহরে আসতেন এবড়ো থেবড়ো রাস্তায় হেঁটে গামছায় রুটি বেঁধে। নৌকায় যমুনা নদী দিয়ে। সূর্য্য উদয়ে রওনা দিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরে পৌঁছতেন সূর্যাস্তের সময় অথবা তারও পরে। যমুনার ভাঙ্গন ছিল প্রতি বছরের নিত্যসাথী। ইট সিমেন্ট রডের দালান কোঠা তাদের কাছে ছিল অনেকটা স্বপ্নের। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। যোগ্য নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কাজীপুরের মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে। কাজীপুরে এখন নানা মাত্রিক উন্নয়ন হয়েছে। মৃত্যুঞ্জয়ী জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর সেই কাজীপুরে উন্নয়ন হয়েছে অভাবনীয়। উন্নয়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার। নেতৃত্ব দিয়েছেন শহীদ এম মনসুর আলীর রাজনৈতিক উত্তরসূরি জাতীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কাজীপুর এখন সিরাজগঞ্জ জেলার উন্নয়নের রোল মডেল। সেই জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর কাজীপুর এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের এক স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের ঘনিষ্ঠ সহচর, সিরাজগঞ্জের মাটি ও মানুষের সন্তান, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম মনসুর আলী ও তাঁর পরিবারের নেতৃত্বে এখনও কাজীপুরের মানুষ আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলকে চিন্তা করে না। অন্তরেও স্থান দেয়নি। শহীদ এম মনসুর আলী উন্নয়নের যে বীজ কাজীপুরে বপন করেছিলেন তা আজও লালন করছেন তাঁর পরিবারের যোগ্য সন্তান আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। একই ধারায় কাজ করছেন মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। তিনি একবার এমপিও নির্বাচিত হয়েছিলেন এই আসন থেকে। একই পরিবারের তিন পুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাজীপুরে। রাজনীতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পরিবারের বাইরে শহীদ এম মনসুর আলীর পরিবারে এটা এক ইতিহাস। বাবু ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে
×