মেসিদের কোচকে খোঁচা!
রুমেল খান ॥ ২০১১ অধিবর্ষের ইংরেজি নবম মাসের পঞ্চম দিবসটি যেন অন্য যে কোন দিনের চেয়ে খানিকটা আলাদা ছিল। বিমানযোগে এদিন ঢাকা আসে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল। উদ্দেশ্য, নাইজিরিয়া জাতীয় দলের সঙ্গে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলা। আর্জেন্টিনা দলের মূল আকর্ষণ ছিলেন লিওনেল মেসি।
সেদিনের আকাশটা অন্যদিনের চেয়ে অনেক পরিষ্কার। বইছিল মৃদুমন্দ হাওয়া। সে কি বিশেষ একজন আসবেন বলে? ভোর সকাল থেকেই এয়ারপোর্টে গিয়ে ভিড় করে দাঁড়িয়ে অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী। তারা একা আসেননি। দলবল নিয়ে এসেছেন। সবাই আর্জেন্টিনার ডাই হার্ড ফ্যান। বিশেষ করে মেসির। তাদের কোন ক্ষুধা-তৃষ্ণাবোধ নেই। নাস্তা করতে গেলে যদি দেরি হয়ে যায়, এই ভয়ে কিছু না খেয়েই বাসা থেকে সেই সাতসকালে বেরিয়েছে সবাই। এখন পর্যন্ত পেটে কোন দানাপানি পড়েনি। তাছাড়া রোদটাও বেশ চড়া। কিন্তু মেসিদের একটু দেখার জন্য ক্ষুধা-তেষ্টার কষ্ট কিছুই না। এসবে কাবু হবার প্রশ্নই আসে না!
অবশেষে এসে গেল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ‘উড়ালপঙ্খী’ থেকে নেমে এলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। যার ওপর সবার নজর বিশেষভাবে নিবদ্ধ, সেই মেসিও নামলেন। তার হাঁটাচলা, কথাবার্তা, ভাবভঙ্গি তো তার সতীর্থদের মতোই। তারপরও কেন তিনি সবার চেয়ে আলাদা? কেন তাকে বলা হয় ‘ভিনগ্রহের ফুটবলার’? এর উত্তরটাও সবারই জানা। সঙ্গে আছেন মেসিদের কোচ, গুরুÑ আলেজান্দ্রো সাবেলাও। সাবেলা হঠাৎ করেই সম্মুখীন হলেন এক অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির। দুদিন আগেই কলকাতায় যেমনটি হয়েছিলেন মেসি। প্রটোকল অফিসার পেছন থেকে আগ্রহের আতিশয্যে সাবেলার পিছে মেরে বসলেন একটি খোঁচা! চমকে উঠলেন আর্জেন্টাইন কোচ। ঘাড় ফিরিয়ে পেছনে তাকালেন। ‘হনুমান আকৃতির মুখ’ দেখে যেমন মানুষ বিরক্ত হয়, তেমনি বিরক্ত হয়ে সাবেলা হাঁটতে লাগলেন হন্হন্ করে। ‘আমি সাবেলাকে স্পর্শ করেছি’- এমন বিশ্বজয়ের আনন্দমুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন প্রোটোকল অফিসার মহাশয়। কিন্তু তিনি কি একবারও ভাবলেন না, তার এই কাজটি করা মোটেও ঠিক হয়নি। এতে কি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়নি?
.
মোবাইল মিথ্যাচার!
শরীফুল ইসলাম ॥ ১৩ মার্চ, দুপুর দেড়টা। রাজধানীর বাড়িধারা সংলগ্ন ক্যাম্ব্রিয়ান কলেজ গেটের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এ সময় সেখান দিয়ে এক রিক্সাচালক ফোনে কথা বলতে বলতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সম্ভবত অপরপ্রান্ত থেকে কেউ ওই রিক্সাচালকের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে রিক্সাচালক বললেন, এখন রামপুরা ব্রিজের ওপরে আছি। এ কথা শুনে সেখানে উপস্থিত মধ্যবয়সী দুই নারী হাসতে হাসতে বলেন, দেখেন কিভাবে মোবাইল মিথ্যাচার করা হচ্ছে। রিক্সাচালক এখনও রামপুরা ব্রিজ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অথচ বলে দিল সে এখন সেখানেই আছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এভাবে প্রতিদিন মানুষ অহরহ মিত্যাচার করছে।
শীর্ষ সংবাদ: