ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে নেপালে সরকারী মেডিক্যাল টিম

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১৬ মার্চ ২০১৮

 ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে নেপালে সরকারী মেডিক্যাল টিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে নেপাল গেছে সরকারী মেডিক্যাল টিম। এই টিম ২৮ বাংলাদেশী লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করবেন। ডিএনএ নমুনার জন্য নিহতদের দাঁত ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করবেন বলে জানান মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া দশটার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ০৭১ ফ্লাইটে ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওয়ানা দেন মেডিক্যাল টিমের ছয় সদস্য। এ সময় মেডিক্যাল টিম সদস্যরা চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে ও তাদের চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে এ টিমে রয়েছেন ৬ চিকিৎসক। টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডাঃ হোসেন ইমাম, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের (পঙ্গু হাসপাতাল) সার্জন ডাঃ রাজিব আহমেদ, এ ছাড়া সিআইডি এ্যাডিশনাল সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ (ক্রাইম সিন সিআইডি) আব্দুস সালাম ও এ্যাসিস্ট্যান্ট ডিএনএ স্পেশালিস্ট (সিআইডি) আশরাফুল আলম। এর আগে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ জানান, টিমের সদস্যরা কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে যে ২৮ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন- তাদের ময়নাতদন্ত করবে। পরে নিহতদের ডিএনএ নমুনার জন্য দাঁত, চুল ও টিস্যু সংগ্রহ করা হবে। সেগুলো সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ও ঢামেক হাসপাতালের ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হবে। এরপর স্বজনদের হাতে মরদেহগুলো তুলে দেয়া হবে। তিনি জানান, কিছু নমুনা ঢামেক ফরেনসিক বিভাগে ও রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। মেডিক্যাল বোর্ড সূত্র জানায়, নেপালে আহত ৯ বাংলাদেশীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়া হবে। পরে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দু’দিন পর তারা দেশে ফিরে আসবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। প্রেস বিফিংয়ে মেডিক্যাল টিমের প্রধান ॥ নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শনাক্ত হওয়া দেহ কাল-পরশুই স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বলে দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ মেডিক্যাল টিমের সদস্য ও ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, ৩৫ টি লাশের কাজ শেষ করেছি। আমরা আগামীকালের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ করতে পারব। পরদিন থেকে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে পারব। কিছু লাশ দেখেই শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএ প্রোফাইল করতে হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে আরও সময় লাগবে। অনেকের স্বজন নেপালে নেই, তাদেরটা কীভাবে শনাক্ত করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ জানান, দু’টি পদ্ধতি আছে। যাদের স্বজন নেই, তাদের ডিএনএ দেশে নিয়ে যাব। সেখানে প্রোফাইলিং করব। যাদের স্বজন আছে, দেশে ফিরে ডিএনএ দিয়ে যাবে। এজন্য কতদিন সময় লাগবে, জানতে চাইলে ডাঃ সোহেল মাহমুদ , আমাদের দেশের প্রেক্ষিত বলব, স্যাম্পল সংগ্রহ করে যখন দেশে চলে যাব, তখন স্বজনরা এসে স্যাম্পল দিতে হবে। দু’টি স্যাম্পল যখন কালেক্ট করতে পারব, তখন ৮ থেকে ১০দিন লাগবে। আরও কিছু প্রক্রিয়া আছে। ব্ল্যাড হলে সহজ হয়। আমি এখান থেকে ব্লাড পাব না। এখান থেকে দাঁত ও হাড় নিতে পারব।
×