ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ধর্ষণের পর ছাত্রী হত্যার স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৫ মার্চ ২০১৮

বরিশালে ধর্ষণের পর ছাত্রী হত্যার স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ধর্ষণের পর আট বছরের এক স্কুলছাত্রীকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক আবুল কালাম আজাদ কালুকে গ্রেফতার করেছে। নগরীর গণপাড়া এলাকার একটি কবরস্থান থেকে স্কুলছাত্রী শিলা আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) এআর মুকুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক ও খুনী আবুল কালাম আজাদ কালু পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত কালু নগরীর কাশিপুরের পশ্চিম চৌহটা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, এয়ারপোর্ট থানার কাশিপুরের পশ্চিম চৌহটা এলাকার আব্দুর জব্বারের কন্যা ও পূর্ব গণপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিলা আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করা হয়। আব্দুর জব্বার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা হলেও কর্মের সুবাদে সে পরিবার পরিজন নিয়ে কাশিপুরের পশ্চিম চৌহটা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১১ মার্চ স্কুলের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিলা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে বস্তাবন্দী অবস্থায় গনপাড়া এলাকার একটি কবরস্থান থেকে শিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন তার (শিলা) মুখে একটি গামছা বাঁধা ছিল। পরিবারের সদস্যরা গামছা দেখেই সন্দেহ করেন ওই গামছাটি প্রতিবেশী রিক্সাচালক আবুল কালাম আজাদ কালুর। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ আবুল কালাম আজাদ কালুকে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কালু শিশুটিকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে বস্তাবন্দী করে ফেলে দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
×