ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রেক্সিট বা টিলারসনের বিদায় যার সর্বশেষ নমুনা

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অবস্থা এখন হ-য-ব-র-ল

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৫ মার্চ ২০১৮

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অবস্থা এখন হ-য-ব-র-ল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার তার শীর্ষ কূটনীতিবিদ রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করেছেন এবং বর্তমান সিআইএ প্রধান মাইক পম্পিকে তার স্থলাভিষিক্ত করেছেন। এ সঙ্গে অবসান ঘটল টেক্সাসের এ তেল ব্যবসায়ীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকার নড়বড়ে মেয়াদ। তিনি প্রায় সব সময় পরিবর্তনশীল প্রকৃতির মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটা অনৈক্য পরিস্থিতিতে ছিলেন। খবর এএফপির। হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করার উদ্দেশে তার মন্ত্রিপরিষদের রদবদল করতে চান। ট্রাম্প গত সপ্তাহে এক আকস্মিক ঘোষণায় বলেছেন যে, তিনি মে মাসের শেষ দিকে কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা নিচ্ছেন। গার্ডিয়ান বলেছে, ট্রাম্প টিলারসনকে বরখাস্ত করে মার্কিন কূটনীতিকে নতুন করে এক বিশৃঙ্খলার দিকে ছুড়ে দিয়েছেন এবং নির্যাতন সমর্থনের জন্য মানবাধিকার গ্রুপগুলোর কাছে নিন্দিত দুই কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়েছে। দৃশ্যত বিপর্যস্ত ও মনোবলহীন টিলারসন পররাষ্ট্র দফতরে সাংবাদিকদের অনুপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দিয়েছেন এবং ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কোন সমালোচনা করেননি। তিনি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেননি। টিলারসন বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ট্রাম্পও স্টাফ প্রধান জন কেলির কাছ থেকে দুপুরের ঠিক পরপর একটি ফোন কল পান। তিনি বলেন, দেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এ সময়ে এক সুশৃঙ্খল ও মসৃণ উত্তরণ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বুধবার শেষে বরখাস্ত কার্যকর হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সব দায়িত্ব উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভানের ওপর ন্যস্ত হবে। পররাষ্ট্র দফতরে টিলারসনের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে ৩১ মার্চ মধ্যরাতে। টিলারসন তার মেয়াদ সম্পর্কে দাবি করেন, আমরা উত্তর কোরিয়া বিষয়ে প্রায় প্রতিটি মানুষের প্রত্যাশার বাইরে চলে গেছি। তিনি স্বীকার করেন যে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে অনেক কিছু করতে হবে। তিনি তার বিদায়ী বক্তব্যে বলেন, রাশিয়ার বিরোধপূর্ণ আচরণ ও কার্যকলাপের জবাবে ওয়াশিংটনকে অবশ্য আরও অনেক কিছু করতে হবে। রাশিয়ার কর্মকা- রাশিয়ার জনগণের স্বার্থে এবং আরও বিস্তৃতভাবে বলা যায়, বিশ্বের স্বার্থে কিভাবে মঙ্গলজনক হবে তা রাশিয়াকে অবশ্য সতর্কতার সঙ্গে নিরূপণ করতে হবে।
×