ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৫ মার্চ ২০১৮

কোটা সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ১৫

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। একমাস ধরে আন্দোলনে থাকা বিক্ষোভকারীরা বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওয়ানা দেয়। মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবন চত্বরে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিচার্জ আর টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়াও সোহরাব, জহির, আরিফ নামে তিন আন্দোলনকারীকে আটক করছে বলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। ওই তিনজনকে রমনা থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পরে আরও অন্তত চল্লিশ জনকে আটক করা হয় বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। পরে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়। বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে একত্রিত হয়ে আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানায়। জসিম উদ্দিন নামে এ আন্দোলনকারী জানান, বিনা কারণে পুলিশ আমাদের অনেককে গ্রেফতার করেছে। আমরা তাদের মুক্তি চাই। মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। এদিকে, পুলিশী হামলার অভিযোগ এনে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৮ মার্চ সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন কবির বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সচিবালয় অভিমুখে যাচ্ছিলাম। হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। আমরা বসে পড়লে পুলিশ আমাদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়া শুরু করে।’ আন্দোলনকারীদের বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু তারা রমনা থানায় আছে। আমাদের কাছে নেই।’ কোটা সংস্কারসহ দাবিতে পাঁচ দফা দাবিতে গত একমাস ধরেই আন্দোলন করে আসছে চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারী নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোন ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা এবং নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।
×