ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৫ মার্চ ২০১৮

অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিনদিন বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার পরিসর। সেই সঙ্গে বাড়ছে অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য হাতে না পেয়ে অনেকেই অভিযোগ করছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে। সংস্থাটি বলছে, অভিযোগ বাড়তে থাকলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের পদক্ষেপ নেবেন তারা। তবে দেশের শীর্ষ অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলছে, ভোক্তার অভিযোগ শূন্যের কোটায় আনা সম্ভব নয়। যানজট কিংবা নাগরিক ব্যস্ততা অথবা এক শহর থেকে অন্য শহরে সময় মতো যেতে না পারা, নানা কারণেই ক্রেতার চোখ এখন ভার্চুয়াল শপিংমলগুলোতে। যেখানে পাওয়া যায় দরকারি প্রায় সব ধরনের ও মানের পণ্য। ভোক্তাদের অভিমত, অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ অনেকটাই সহজ করেছে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডকে। একজন নারী ভোক্তা বলেন, ‘এমনিতেই ট্রাফিক জ্যাম থাকে। আর সারাদিন কাজের পর এতটা এ্যানার্জি থাকে না যে বাইরে গিয়ে নিজের জন্য শপিং করব। তাই অনলাইন আমার জীবনটাকে সহজ করছে।’ তবে, চুক্তি মতো পণ্য হাতে না পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে অনেকের। যারা দ্বারস্থ হচ্ছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের। মাইজুদুল ইসালাম নামে চট্টগ্রামের একজন ভোক্তা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওরা বলেছিল যে, নয়-দশ দিনের মধ্যে দিবে। পরে সেটা পেয়েছি ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ দিন পর। যেটা পেয়েছি সেটার কোয়ালিটিও খুব খারাপ ছিল।’দেশের শীর্ষ অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দাবি, কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করতেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ তাদের। তবে আরও সচেতন হতে হবে ভোক্তাদের। দারাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘অভিযোগ ছোট হোক বা বড় হোক, সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। একটা সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি বা ওয়ার্ল্ড ই-কমার্স, আমি বলব না যে, কোন অভিযোগ আসবে না। তবে আমরা চেষ্টা করি অভিযোগ যত কম থাকে এবং অভিযোগগুলো যত দ্রুত সমাধান করে দিতে পারি।’ পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিশ্রুত সেবা না দেয়ায় গেল এক বছরে ৮টি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৩টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায়, এ অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এর মধ্যে আইন মোতাবেক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে অভিযোগকারীদের। সংস্থাটি বলছে, চুক্তি মোতাবেক ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে হবে পণ্য। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাচ্ছি অনেক। তারা যদি প্রতিশ্রুত পণ্য সময় মতো সরবরাহ না করে তাহলে আমরা তাদের এই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।’ ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের তথ্য মতে, বর্তমানে সেবা চালু রেখেছে সাড়ে ৭শ’র বেশি অনলাইন শপ, আর ফেসবুকে পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করছে আরও ১০ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
×