ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ আব্দুল্লাহ

এই হামলা অনভিপ্রেত

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৫ মার্চ ২০১৮

এই হামলা অনভিপ্রেত

মুক্তচিন্তার লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর অতর্কিত হামলা দেশের বুদ্ধিজীবী মহলসহ সাধারণ মানুষকে হতবাক করেছে। এর আগেও অনেক লেখক-সাংবাদিক এ ধরনের শিকার হয়েছে। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদসহ বহু লেখক প্রকাশক, বুদ্ধিজীবী জঙ্গীবাদের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এখনও সারাবিশ্বে জঙ্গীবাদীরা তাদের কালো থাবা বিস্তারে সক্রিয় হয়ে উঠছে। তাদের এই তৎপরতা দিন দিন বাড়ছেই। মুসলিম দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে এই জঙ্গীবাদের। জঙ্গীবাদ যেভাবে বাড়ছে তাতে এর প্রকটতা আরও কতটা বাড়বে তা কল্পনাও করা যায় না। সৌদি আরব, ইরাক, তুরস্ক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের ছোট ছোট দেশগুলোতে যেভাবে জঙ্গীবাদের আগ্রাসন বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে জঙ্গীবাদ মুসলিম দেশগুলোকে একেবারেই গিলে ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের দেশে জঙ্গীবাদের উৎপত্তি বেশ আগেই হয়েছে। দেশে এর কালো থাবা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এখন এই জঙ্গীবাদকে রুখে দাঁড়াতে হলে সরকারকে বড়ই সাহসী আর দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও এর কালো থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমেরিকাতেও জঙ্গী তৎপরতা বেড়েছে। লন্ডনের পাতালরেলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা মানুষ মেরেছে। আর আমেরিকার কয়েকটি শহরেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশেও জঙ্গীবাদ অব্যাহত আছে। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ কথাটা যারা জঙ্গিবাদী তারা একেবারেই ভুলে গেছে। তা না হলে কেন মানুষ মানুষকে মারবে? যে অন্যায়ভবে একটি নির্দোষ মানুষকে হত্যা করল, সে যেন পৃথিবীর সব নির্দোষ মানুষগুলোকে হত্যা করল। আর যে একটি নিরপরাধ লোককে রক্ষা করলো সে যেন পৃথিবীর সকল নিরাপদ লোকগুলোকে রক্ষা করল। এই কথাগুলো যারা জঙ্গীবাদের সঙ্গে যুক্ত তারা যেন একেবারেই ভুলে গেছে। মুক্তমনের মানুষ চিন্তা করে আর তারই ফলশ্রুতিতে সে কিছু কথা বলে যে কথাগুলো যারা জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে ভাল লাগে না। তাইতো তারা মুক্তমনের মানুষগুলোকে টার্গেট করে থাকে। অধ্যাপক জাফর ইকবাল মুক্তমনের মানুষ আর সে জন্যেই জঙ্গীরা তাকে পছন্দ করেনি বরং তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। আসল কথা হলো মানুষের জ্ঞানের পরিধি না বাড়ালে মানুষ কূপম-ূক থেকে যাবে আর সে মানুষ জঙ্গী হয়ে যাবে। তাই সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত না হলে জ্ঞানের পরিধি বাড়বে না। আর বিপথগামী মানুষ এ রোগের হাত থেকে পরিত্রাণও পাবে না। যারা অন্যায়ভাবে সমাজে হত্যার মতো নিষ্ঠুর কর্মে নিয়োজিত তাদেরও উচিত বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখা। সমাজ থেকে জঙ্গীবাদ দূর করতে হলে সমাজের জ্ঞানী গুণী লোকের আগমন ঘটাতে হবে- তা না হলে সমাজ থেকে কিছুতেই জঙ্গীবাদ নির্মূল করা যাবে না। তাই সমাজের বিবেকবান মানুষদেরকে একযোগে জঙ্গীবাদের মোকাবেলা করে একে নির্মূল করতে হবে। ঢাকা থেকে
×