ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘গার্মেন্টস খাতে নারী যৌন হয়রানি ও বেতন বৈষম্যের শিকার’

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ১৪ মার্চ ২০১৮

‘গার্মেন্টস খাতে নারী যৌন হয়রানি ও বেতন বৈষম্যের শিকার’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপদ ও অনুকূল কর্মপরিবেশ, জেন্ডার সমতা ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অংশগ্রহণ বাড়ালেই নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন মানসিকতা এবং দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন। মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা; পেশাগত উন্নয়নে সাফল্য ও গতিশীলতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, শতকরা ৮০ শতাংশ নারী গার্মেন্টস সেক্টরে নিয়োজিত রয়েছে। অথচ তৈরি পোশাক শিল্প খাতে নিয়োজিত এসব নারী কর্মীরা যৌন হয়রানিসহ বেতন বৈষম্য, যথাযথ প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাবে পিছিয়ে রয়েছে। তাদেরকে আধুনিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুললে তারা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার গার্মেন্টস রয়েছে এবং বিশ্ব বাজারে এই খাত থেকে (২০১৩-২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী) প্রায় ২৮ কোটি ইউএস ডলার আয় হয়। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এদের অব¯স্থান শতকরা চার ভাগ। অথচ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার এই নারীরা অনেক ক্ষেত্রে বিষয় জ্ঞান নি¤œমানের হওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্র, পরিবার ও নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হয়। ফলে শ্রমের তুলনায় তারা কর্মদক্ষতার পরিচয় রাখতে অসমর্থ হয়। ইউএন উইমেন ও ইতালিভিত্তিক ফ্যাশন ব্রান্ড বেনেটনের সহযোগিতায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমীন বেনু ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আশরাফ শামীম। অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়া চৌধুরী, ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ সোকো ইসাকাওয়া, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমেদ, জেন্ডার এক্সপার্ট শামীমা পারভীন, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) প্রতিনিধি নাবিরা রহমান ও কেয়ার বাংলাদেশের (উইমেন এ্যান্ড গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম)-এর পরিচালক হুমায়রা আজিজ বক্তৃতা করেন।
×