ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে বাড়তি নজরদারিতে বিভিন্ন মার্কিন প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৪ মার্চ ২০১৮

চীনে বাড়তি নজরদারিতে  বিভিন্ন মার্কিন  প্রতিষ্ঠান

চীনের মার্কিন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের এক স্টাফ-সদস্যকে সম্প্রতি দেড়-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। চীনা পুলিশ তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছে, প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন হচ্ছে কোথা থেকে? কীভাবে এর বক্তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষণ করা হয়? এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক কী? এ ঘটনা চরমমাত্রার হলেও অস্বাভাবিক নয়। এএফপি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর প্রমাণ উত্থাপন করেছে যে, চীন জানুয়ারি ২০১৬ ও এপ্রিল ২০১৭ সালের মধ্যে আমেরিকান সরকারী কূটনীতির ব্যাপারে ১শ’ ৫০ বারের বেশি হস্তক্ষেপ করেছে। পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, দেশটি কমিউনিস্ট পার্টির শাসন উৎখাতের জন্য নস্যাতমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বৈরী পররাষ্ট্র শক্তির প্রতি পাল্টা জবাবের নামে এ হস্তক্ষেপ চালায়। এ চাপের কারণে কনসার্ট সঙ্গীত ও নৈশকালীন চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর বেশ কিছু উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। চীন এমনকি এর নিজস্ব কনফুসিয়াম প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপারে অবজ্ঞা দেখাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বে এ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ভাষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্ক আমেরিকান সেন্টার্স ফর কালচারাল এক্সচেঞ্জের (এসিসি) প্রতি এ হস্তক্ষেপ চরমভাবে প্রতীয়মান হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো চীনে কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে কাজ করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একত্রে মিলে (এ ধরনের ২৯টি কেন্দ্রের সঙ্গে) কাজ করার জন্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারী সংস্থাগুলোকে অনুদান দিয়েছে। কিন্তু চীনের সরকারী কর্তৃপক্ষের চাপের কারণে এ ধরনের ১০টি প্রতিষ্ঠান উঠে গেছে।
×