২০০৪ সালে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএনএসবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশে শিশুদের কিডনি রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। পিএনএসবির সুপারিশক্রমে বাংলাদেশে প্রথম ২০০০ সালে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিষয়ে এমডি ডিগ্রী প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন প্রদান করে এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউতে কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী প্রদানে এনআইকেডিইউ ও বিআইসিএইচ’র অনুমোদন প্রদান করা হয়। পিএনএসবির যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় বিশজন পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিষয়ে এমডি ডিগ্রী প্রাপ্ত হয়ে সারাদেশে শিশু কিডনি রোগীদের সুনামের সঙ্গে চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। যদিও এই সংখ্যা দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজে শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ-সুবিধা এখন পর্যন্ত অপ্রতুল। বিভিন্ন সরকারী মেডিক্যাল কলেজে যদিও শিশু কিডনি রোগ বিষয়ে ৪৩টি পদ আছে। কিন্ত প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ছাড়া বাঞ্ছনীয় চিকিৎসা প্রদান সম্ভব নয়।
২০১৬ সালে ১ জুলাই পিএনএসবির নূতন কার্যকরী কমিটি প্রফেসর মোহাম্মদ হানিফ ও প্রফেসর মোঃ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই সোসাইটির কার্যক্রমের গতিময়তা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে অনেক মেডিক্যাল কলেজে সিএমই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। ছয় মাস পর পর পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি জার্নাল অব বাংলাদেশ নামে একটি জার্নাল ছাপা হয়। যাতে দেশের প্রতিষ্ঠিত সিনিয়র ও জুনিয়র শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞদের বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ ছাপা হয়। পিএনএসবির কার্যক্রম দেশে ও বিদেশে www.pnsb.org নামে একটি ওয়েবপেজের মাধ্যমে অবলোপন করতে পারেন। এই সোসাইটির কার্যক্রমের ফলে গত দুই বৎসরে শিশু কিডনি রোগ সম্বন্ধক ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।পিএনএসবির অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু কিডনি রোগ বিষয়ে ২ দিনব্যাপী ৪র্থ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন শুরু হয়। যাতে ইউরোপ, এশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশ থেকে নয়জন বিশ্ববিখ্যাত শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ যোগদান করে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে সারা দেশ থেকে পাঁচশত এর ও অধিকজন শিশুরোগ ও শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ যোগদান করেন। -বিজ্ঞপ্তি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: