ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে আমদানি নিষিদ্ধ ড্রোন জব্দ

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ১৩ মার্চ ২০১৮

শাহজালালে আমদানি নিষিদ্ধ ড্রোন  জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ অত্যাধুনিক ড্রোন ও প্রায় দেড় লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত ১১টায় শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তাইওয়ানের নাগরিক চ্যাং-হসিন লির কাছ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ (DJI MAVIC PRO) মডেলের উন্নতমানের ক্যামেরা ও সেন্সর বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, ভিডিও শূটিংয়ের পাশাপাশি এটি গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করা যায়। এর কোন অপব্যবহারের ঝুঁকি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঢাকা থেকে এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট একে ৭১ যোগে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন তিনি। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে তাইওয়ানের নাগরিক চ্যাং হসিন লি জানান, জাতীয় সংসদ ভবনসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মনুমেন্টের ছবি তুলেছেন। কোন ঘোষণা ছাড়া ড্রোনটি বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। মহাপরিচালক ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাইওয়ানের ওই নাগরিককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাতে শাহজালালে অপর অভিযানে আমদানি নিষিদ্ধ এক লাখ শলাকা বিদেশী সিগারেট জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দার অপর টিম। জব্দকৃত সিগারেটের মোট ৪টি লাগেজ ৫০০ কার্টনে মালিকবিহীন অবস্থায় শুল্ক গোয়েন্দা জব্দ করে। সিগারেটগুলো ৩০৩ ব্র্যান্ডের। পণ্যের শুল্ককরসহ জব্দকৃত পণ্যের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। যা কুয়েত ও সৌদি আরব থেকে বিমানযোগে আসে। এ ছাড়া সোমবার সকালে অপর অভিযানে দুবাই থেকে আগত আমদানি নিষিদ্ধ ৪৭ হাজার ৬০০ শলাকা বিদেশী সিগারেট জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা। যা দুইটি লাগেজ মালিকবিহীন অবস্থায় ৪ নম্বর বেল্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। এই সিগারেটগুলোও ৩০৩ ব্রান্ডের। পণ্যের শুল্ককরসহ আটক পণ্যের মূল্য প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা। সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ব্যতীত বিদেশী সিগারেট আমদানি করা যায় না। সিগারেটের ওপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০%) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জব্দকৃত পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
×