ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়া চার মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৩ মার্চ ২০১৮

খালেদা জিয়া চার মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বয়স, শারীরিক অসুস্থতাসহ চার যুক্তিতে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্ট তার আদেশে বলেছেন, খালেদা জিয়া বয়স্ক নারী। তাঁর শারীরিক নানা জটিলতা আছে। এসব বিবেচনা করে তাঁকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়া হলো। একই সঙ্গে ্ হাইকোর্ট আরও বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে আপীল শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরি করতে হবে। পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে গেলে যে কোন পক্ষ শুনানির জন্য আপীল উপস্থাপন করতে পারবে। এদিকে খালেদা জিযার চার মাসের জামিনের স্থগিতাদেশ চেয়ে আপীল বিভাগে আজ মঙ্গলবার আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জামিনের এই আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীগণ। এদিকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ছাড়াও দুদকের আরও ৫টিসহ ৩৬টি মামলা চলমান রয়েছে। আদেশের পর আইনমন্ত্রী বলেছেন, সরকার বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না, খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন নির্দেশ তাই প্রমাণ করে । জামিন আদেশ যতক্ষণ পর্যন্ত কারাগারে না পৌঁছে ততক্ষণ পর্যন্ত মুক্তি নয়। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীগণ বলেছেন, এখন নতুন করে অন্য কোন মামলায় গ্রেফতার না দেখালে কারা মুক্তিতে কোন বাধা নেই । জামিনের আদেশকে কেন্দ্র করে আদালতের প্রাঙ্গণে ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ও এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। শুরুতেই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীনের কাছে জানতে চান, তাদের কিছু বলার আছে কি না। তখন তিনি বলেন, জামিন আবেদনের শুনানি তো শেষ হয়েছে। আমরা আদেশের জন্য অপেক্ষা করছি। যদি রাষ্ট্রপক্ষ কিছু বলে তাহলে আমরা জবাব দিব। এ সময় এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ মামলাটি স্পর্শকাতর। বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে তাঁকে ৫ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন। যেহেতু নিম্ন আদালতের নথি এসেছে সেহেতু আপীল শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এটি একটি দুর্নীতির মামলা। এখানে এতিমের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আত্মসাত হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের মামলার নিজর তুলে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি সাড়ে তিনবছর কারাগারে ছিলেন। অতএব খালেদা জিয়া মাত্র দুই মাস কারাগারে ছিলেন অতএব জামিন দেয়া ঠিক হবে না। এ সময় আদালত বলেন, তখন তার বয়স কতছিল। এ্যাটর্নি বলেন, তখন বয়স ছিল ৬৫ বছর। আদালত বলেন, তিনি তো এ সময় শারীরিকভাবে ফিট ছিলেন। তিনি কারাগারে থেকে বেরিয়ে বিয়ে করেছেন। আল্লাহর রহমতে পুত্র সন্তান লাভ করেছেন। এ সময় দুদকর আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সাজার পরিমাণ কম এ বিবেচনায় জামিন দেয়া উচিত হবে না। এটা জামিন দেয়ার গ্রাউন্ড হতে পারে না। তারা যে শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে কোন মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখান নাই। এ সময় আদালত বলেন, এ শুনানি তো আপনি আগেও করছেন। নতুন কি আছে সেটা বলুন। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, আগে তিনি খালেদা জিয়া অসুস্থ ছিলেন। এই অসুস্থতার কারণে তিনি হাঁটাচলা করতে পারেন নাই। এ সময় একটি দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের দ-প্রাপ্ত ব্যক্তিকে হাইকোর্টের একক বেঞ্চে জামিন দেয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এরপর আদালত চারটি গ্রাউন্ড তুলে ধরে চার মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপীল শুনানি শুরুর আদেশ চাইলেও হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে চারটি যুক্তিতে। ১. নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের যে সাজা দিয়েছে, তুলনামূলকভাবে কম ওই সাজায় হাইকোর্টে জামিনের রেওয়াজ আছে ২. বিচারিক আদালতের নথি এসেছে কিন্তু আপীল শুনানির জন্য এখনও প্রস্তুত হয়নি। ফলে আসামি জামিনের সুবিধা পেতে পারেন। ৩. বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া জামিনে ছিলেন এবং এর অপব্যবহার করেননি। আদালতে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন। ৪. বয়স এবং বয়সজনিত শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেয়া যায়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদন্ড হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপীল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপরই গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেই সঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদন্ড। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছানোর পরই আদেশ দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন পলাতক। এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। খালেদার জামিন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রমাণ ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগ যে স্বাধীনভাবে কাজ করছে, এটা তারই প্রমাণ। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া ৫ বছরের কারাদন্ডর বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সনের আপীল গ্রহণ করে তাকে চার মাসের জামিনের আদেশ সোমবার দিয়েছে হাইকোর্ট। খালেদার জামিনের আদেশের পর আইনমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সারাদেশে বলে বেড়াচ্ছিলেন, আমরা নাকি আদালতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করছি বলে বেইলটা (জামিন) হচ্ছে না।’ আজকে প্রমাণিত হল, বিচার বিভাগ যে স্বাধীন এবং বিচার কাজে যে সরকার হস্তক্ষেপ করে না। খালেদার জামিনের আদেশের পর সরকারের পদক্ষেপ কী হবে, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটা দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়। ‘দুর্নীতি দমন আইনে বলা আছে, দুর্নীতি দমন কমিশন হবে পক্ষ, রাষ্ট্র উইল বি দ্য সেকেন্ড পার্ট। তাহলে এখন দাঁড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন বনাম আসামি খালেদা জিয়া। এখন দুর্নীতি দমন কমিশন কী করবেন, সেই সিদ্ধান্ত তারা নেবেন। এটা সরকারের ব্যাপার নয়।’ জামিনের আদেশ হলেও তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌঁছানো পর্যন্ত খালেদা জিয়া মুক্ত হচ্ছেন না বলে স্পষ্ট করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি (হাইকোর্টের) রিটেন অর্ডার থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে সার্টিফাইড কপি যদি ওনারা বলে থাকেন এ্যাডভান্সড অর্ডারের সার্টিফাইড কপি চলে যাওয়ার, তাহলে এ্যাডভান্সড অর্ডারের সার্টিফাইড কপি যাবে। ‘আর যদি ওনারা বলে থাকেন আমরা সার্টিফাইড কপি দিলে পরে, তবে সেই আদেশ যতক্ষণ পর্যন্ত না জেলখানায় পৌঁছে আদালতের মাধ্যমে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে রিলিজ করা হবে না।’ রাষ্ট্রপক্ষ আপীল করবে ॥ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপীল করা হবে বলে জানিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ইতোমধ্যে আপীলের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার সুপ্রীমকোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।এ সময় মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমরা আপীল ফাইলের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি আজ মঙ্গলবার জামিনের বিরুদ্ধে আপীলে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জামিনের আদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম। এ সময় আপীলের প্রস্তুতি নিতে পারতাম। কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেননি। জামিন স্থগিত চাইবে দুদক ॥ হাইকোর্টের আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, ‘হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করা হবে।’ তিনি বলেন, আজই আমরা আবেদন করব। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক পৃথক পৃথকভাবে দুটি আবেদন করবে। মুক্তিতে বাধা নেই ॥ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন , কোন সাজা প্রাপ্ত যদি মহিলা হয় সে সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট মুক্তি দিতে পারে। এখানে খালেদা জিয়ার সাজা মাত্র ৫ বছর। আমরা আজ সবাই আনন্দিত। এই যে একমাস কষ্ট পেল তার জন্য খারাপ লাগছে। আর কোন আইনী বাধা নেই। উনি শীঘ্রই আমাদের মাঝে আসবেন। তবে আজ সম্ভাবনা নেই। জামিন পাওয়ার পর কিছু প্রক্রিয়া আছে। যা সম্পন্ন করতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আজ আদালতের সময় শেষ হওয়ায় সে প্রক্রিয়াগুলো কাল সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রীমকোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন, এখন নতুন করে অন্য কোন মামলায় গ্রেফতার না দেখালে খালেদা জিয়ার কারা মুক্তিতে কোন বাধা নেই। জামিনের রায় পরবর্তী সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘সরকার যদি অন্য কোন মামলায় তাকে (খালেদা জিয়া) গ্রেফতার না দেখায় তাহলে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর কোন বাধা নেই। আদালত অঙ্গনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিযার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য সুপ্রীমকোর্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সুপ্রীমকোর্টের প্রবেশ গেটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া এনেক্স ভবনের সংশ্লিষ্ট এজলাসের বাইরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হলেও বিএনপি নেতা কর্মীদের আদালতে প্রবেশ করে। তারা রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল বের করে। এজলাসে বিএনপি কর্মী ও আইনজীবীদের ভিড়ে সংবাদ কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহের বেশ বেগ পেতে হয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা রায় হলেও এখনও দুদকের ৫টি মামলাসহ ৩৬টি মামলা চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় মামলা হিসেবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুদকের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে, এখন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক চলছে। বিএনপির আইন বিষয়ক সাম্পাদক সানাউল্লা মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, যে ৩৬টি মামলা রয়েছে তাও আইনীভাবে মোকাবেলা করা হবে। এদিকে ৮ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও ১৪টি মামলার কার্যক্রম এখন থেকে বকশীবাজারের সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালতে স্থানাস্তর করা হয়েছে। এখন থেকে এ মামলাগুলো সেখানেই চলবে। মামলাগুলো হলো দারুস সালামের নাশকতার আট মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা ও মানহানির দুই মামলা। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। ১৪টি মামলার মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ৯টি, বিশেষ জজ আদালতের তিনটি ও ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের দুইটি মামলার বিচারকাজ বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে চলবে।
×