ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

কিউই ব্যাটিং নিয়ে হেসনের দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১২ মার্চ ২০১৮

কিউই ব্যাটিং নিয়ে হেসনের দুশ্চিন্তা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ঘরের মাটিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। আর সেই সুবাদে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে তারা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের সেরা সাফল্য হিসেবে রানার্সআপ হয়েছে। আরেকটি বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে। এবার ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। মূলত টপঅর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতাই এ পরাজয়ের আসল কারণ। তাই দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ মাইক হেসনের কপালে। বিশ্বকাপের আগেই ব্যাটিং উন্নতি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে ভাবছেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের অধীনে খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ওই একবারই বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দেশকে সেরা সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন। তবে ফাইনালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে মেলবোর্নে হেরে যায় কিউইরা। প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। বিশ্বকাপের পর ম্যাককুলাম অবসরে গেছেন। নেতৃত্ব কাঁধে উঠেছে কেন উইলিয়ামসনের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উইলিয়ামসনের সতীর্থরা ব্যাটিংয়ে একের পর এক হতাশাই উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সদ্যই সমাপ্ত ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইংলিশদের বিপক্ষে দলের টপঅর্ডাররা চরমভাবে হতাশ করেছেন। যদিও ৩-২ ব্যবধানে হারের পরও বেশ লড়াই করেছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ঘরের মাটিতে সিরিজ হেরে যাওয়াটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কোচ হেসন। বিশেষ করে আগামী বছর মে মাসে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের জন্যই তার চিন্তাটা বাড়ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডাররা শক্ত মঞ্চ তৈরি করে দিতে পারছে না। এটা এখন একেবারেই পরিষ্কার।’ বিশেষ করে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাত্র ৯৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ওয়ানডেতেও ২ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল কিউইরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রস টেইলরের ১৮১ রানে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিল তারা। ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বড় জুটি ছিল এই সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরোর ১৩ বলে ১২ রান। কিন্তু তুলনামূলকভাবে ইংল্যান্ড ক্রমান্বয়ে উন্নতি করেছে তাদের উদ্বোধনী জুটিতে। প্রথম ওয়ানডেতে ১০, দ্বিতীয়টিতে ১৫, তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৫, চতুর্থ ওয়ানডেতে ৭৭ এবং পঞ্চম ম্যাচে ১৫৫ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের ওপেনাররা। ৫ ওয়ানডের মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে কয়েকজনের ভাল ব্যাটিং নৈপুণ্যের ওপরই নির্ভর করতে হয়েছে। এর মধ্যে টেইলরের দুটি সেঞ্চুরি, উইলিয়ামসনের একটি সেঞ্চুরি এবং আট নম্বরে নামা স্যান্টনারের সবমিলিয়ে করা ২১৬ রান। এ বিষয়ে হেসন আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারিনি। আমাদের যে শক্তিমত্তা আছে সেটাকে আমরা দেখাতে পারিনি। অথচ আমরা গভীর ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে নেমেছি। অবশ্যই আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
×