ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির বোমা সন্ত্রাস প্রতিরোধ করা হবে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১২ মার্চ ২০১৮

বিএনপির বোমা সন্ত্রাস প্রতিরোধ করা হবে ॥ কাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা, ১১ মার্চ ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, গণতন্ত্র নিয়ে দেশ-বিদেশে আজ কোন প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপির। গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনসমূহ যথাসময়ে হচ্ছে। দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে একটিতে বিএনপি ও আরেকটিতে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করেছে। বিগত সময়ে গণতন্ত্র রক্ষার নামে বিএনপি দেশে বোমা সন্ত্রাস করেছে। ২০১৪ সালের মত আবারও বোমা সন্ত্রাস করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করা হবে। আগুন সন্ত্রাস করে ও পেট্রোল বোমা মেরে দেশে গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টা করবেন না। মন্ত্রী রবিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ‘কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী ২য় সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্পের গোমতী সেতুর সুপার স্ট্রাকচার’ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে তাদের আসা না আসা এ বিষয়ে সরকারের কোন দায় নেই। তারা (বিএনপি) কি মনে করে এটা একটা সুযোগ, যে সুযোগ সরকার তাদেরকে বিতরণ করবে। নির্বাচনে অংশ নেয়া তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি বলেন, বেসামাল কথা তারাই বলে যাদের পায়ের তলার মাটি কম। যাদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত তাদের বেসামাল কথা বলার প্রয়োজন নেই। তিনি বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মরণকালের বৃহৎ ও সুশৃঙ্খল জনসভাগুলো থেকে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দেন। ২০১৪ সালের মতো নীলনকশা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে, জনগণ এখন অনেক সচেতন, সজাগ। বাংলাদেশের জনগণ খালেদা জিয়ার মানুষ পোড়ানোর গণতন্ত্র এখন আর চায় না। গত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপি-জামায়াত দেশে যে নৈরাজ্য চালিয়েছে এবং জনগণকে পুড়িয়ে মেরেছে তা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারার কারণে খালেদা জিয়া থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দুর্নীতির মামলায় জেলে যাওয়ার পরেও জনগণ খালেদা জিয়ার জন্য রাস্তায় নামেননি এটাই তার চাক্ষুষ প্রমাণ। স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে দেশের উন্নয়নকে যারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে তাদেরকে জনগণ কঠিন হাতে মোকাবেলা করবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, জনদুর্ভোগ ও ৩টি ব্রিজের নির্মাণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জন্মের একটা যন্ত্রণা আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নীত হয়েছে। কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় মহাসড়কে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে এবং ঈদের সময় যানজট বাড়ে। ব্রিজ ৩টির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ধৈর্যধারণ করতে হবে এবং সাময়িক কষ্ট মেনে নিতে হবে। তবে সুখবর হলো- বাংলাদেশে এই প্রথম ওই ৩টি ব্রিজের নির্মাণ কাজের সময় ও ব্যয় দুটিই কমে এসেছে। এ ৩টি ব্রিজের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টায় ৬ মাস আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এছাড়া ওই ৩টি ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় বাবদ রাষ্ট্রের ৭শ’ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিজ ৩টির নির্মাণ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট থাকবে না, জনগণের দুর্ভোগ কমে যাবে। ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত করা যাবে। তিনি আরও বলেন, রবিবার পদ্মা সেতুর ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ৭-সি স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে ৪৫০ মিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে এবং পদ্মা সেতুর ৫৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
×