ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকবেন শি জিনপিং

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১২ মার্চ ২০১৮

চীনে আজীবন  প্রেসিডেন্ট থাকবেন শি জিনপিং

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ চীনের পার্লামেন্ট রবিবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের নির্দিষ্ট সময়সীমা বিলুপ্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এটি কার্যকর হলে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। চীনের প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধির সম্মতিতে পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার মেয়াদকাল বিলুপ্ত করে সংবিধানে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে আইন পাস করে। ভোটাভুটিতে এই উদ্যোগের পক্ষে ভোট দেয় ২ হাজার ৯শ ৫৮ জন। দু’জন বিপক্ষে ভোট দেয় ও তিনজন ভোটদানে বিরত থাকে। খবর বিবিসি ও এএফপির। যদিও প্রস্তাবের ভোটাভুটি নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। নব্বই এর দশকে চীনে প্রেসিডেন্টের জন্য দু’মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্থাৎ একজন দু’মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। কিন্তু এখন এ বিধান প্রত্যাহার করে নেয়ায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তার বর্তমান মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা। চীনে কংগ্রেসই সবচেয়ে শক্তিশালী যদিও মনে করা হয় যে এখানে শীর্ষনেতার ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটে। তবে এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে অনেক। যদিও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে একে দরকারি একটি সংস্কার কাজ হিসেবে বলা হচ্ছে। ইতিহাসবিদ ও রাজনীতির বিশ্লেষক ঝ্যাং লিফানের মতে, শি জিনপিংকে ক্ষমতায় রাখতে সংবিধান সংশোধনের এই উদ্যোগ আগেই অনুমান করা যাচ্ছিল। কিন্তু কত বছর তাকে ক্ষমতায় রাখার কথা চিন্তা করা হচ্ছে- তা নিয়ে পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। ‘থিওরি অনুযায়ী তিনি জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের চাইতেও বেশি সময় রাজত্ব করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ বলতে পারে না।’ জিম্বাবুয়েকে ৩৭ বছর শাসন করা মুগাবে গতবছর গণবিক্ষোভ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের পর দলের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। চীনের অনেক নাগরিক অনির্দিষ্টকালের জন্য এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ার বিষয়টি পছন্দ করেননি। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব ওঠার পর দেশটির সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবুতে একজন লেখেন, ‘যদি দুই মেয়াদ যথেষ্ট না হয়, তাহলে তারা তিন মেয়াদের কথা লিখতে পারে। কিন্তু সেখানে অবশ্যই একটা সীমা থাকতে হবে, একেবারে মুক্ত করে দেয়া ভাল হবে না।
×