ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনী ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১২ মার্চ ২০১৮

 চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনী ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা সম্পূর্ণ নিরসন এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। কারণ বর্ষার আর বেশি দেরি নেই। এর আগেই যতটুকু সম্ভব নিরসনের মাধ্যমে বর্ষাকালে যেন আর নগরীর সড়কে নৌকা না চলে অন্তত সেই ব্যবস্থাটুকু করতে হবে। নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) সহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। উল্লেখ্য, ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এই প্রকল্প ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে শহরের ৮০ ভাগ এলাকা স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। রবিবার চউকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির প্রথম সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। এই প্রকল্পের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ শুরুর জন্য অনুমোদন নিয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই কাজ শুরু হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুত বিভাগকে চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিরসনে চউকের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। চউককে এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়। চউকের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাঈনুদ্দীনকে এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। চউক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ও নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ৩৬টি খালের মধ্যে অন্তত ১৬টি খালকে পুনঃখননের মাধ্যমে আপাতত আংশিক সমস্যা সমাধনের চেষ্টা করবে। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোর শীঘ্রই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের এই বৈঠকে মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্ষা আসার আগেই ৩৬টি খালের মধ্যে অন্তত ১৬টি খালের মাধ্যমে পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আরএস দাগ অনুযায়ী খালের মূল অবস্থান চিহ্নিত করে সরকারী জায়গা থেকে অবৈধদের বিনা নোটিসে উচ্ছেদ করতে হবে। নগরবাসীর দুর্দশা লাঘবের জন্য প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে বলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়েছি। কারণ চট্টগ্রামের উন্নয়নে এ প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি ও যা নিচু এলাকার মানুষকে পানিবন্দী অবস্থা থেকে রক্ষা করবে। এ প্রসঙ্গে চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরী। সরকার উন্নয়ের গতিধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুত বিভাগকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চউককের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান বৈঠকে। চউকের এই উন্নয়ন পরিকল্পনায় নগরীর ৩৬টি খালের মধ্যে ১৬টি খাল পরিষ্কার করে খননের ব্যবস্থা করা হবে। কর্পোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও আরএস জরিপ অনুযায়ী খাল পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান চউক চেয়ারম্যান। সভায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের মহাপরিচালক ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ বলেন, আমরা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাব।
×