ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফায়েল কিনছে ভারত

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১২ মার্চ ২০১৮

ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফায়েল কিনছে ভারত

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর চার দিনের সফরে ভারতে অবস্থান করছেন। শনিবার দু দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, বাণিজ্য ও জ্বালানি বিষয়ে বেশকিছু চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে চুক্তি স্বাক্ষরের পর যৌথ বিবৃতিতে নতুন করে ৭৮৭ কোটি ইউরো মূল্যের ৩৬ টি রাফায়েল জঙ্গীবিমান ক্রয় প্রশ্নে নিরব থেকেছে ভারত। টাইমস অব ইন্ডিয়া। এর আগে ম্যাক্রোঁ বলেন, সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় চুক্তি দু দেশের কৌশলগত অংশিদারিত্বে মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে। উন্মুক্ত করে দেবে। এ পদক্ষেপকে চীনের আঞ্চলিক শক্তি হয়ে ওঠার প্রত্যাশা রুখে দেয়ার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় একটি সূত্র জানায়, এর আগের চুক্তি অনুযায়ী প্রথম কিস্তির ৩৬টি রাফায়েল জঙ্গীবিমান ভারতে এসে পৌঁছালেই দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ম্যাক্রোঁ বলেন, ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখতে ভারতের সঙ্গে তার দেশ যে চুক্তি করেছে, তা উভয়ের নিরাপত্তা স¤পর্ককে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আমাদের নিরাপত্তার একটি শক্তিশালী অংশ এবং বিশ্ব স্থিতিশীলতার অনেকাংশ ভারত মহাসাগরের ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরের মতো ভারত মহাসাগর আধিপত্য বিস্তারের স্থান হতে পারে না। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভূমি থেকে মহাশূন্যে এমন কোন বিষয় নেই, যা নিয়ে ভারত ও ফ্রান্স একত্রে কাজ করছে না। নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় ভারত ও ফ্রান্স উভয় দেশই পরস্পরের যুদ্ধজাহাজের জন্য নিজ নিজ নৌঘাঁটি মোদি বলেন, চুক্তিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আগামীতে ভারত মহাসাগর খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় অনেকটাই সফল চীন। এ নিয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন জাপান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ও ইন্দোনেশিয়াসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা প্রতিহত করতে গিয়ে বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে চীন মার্কিন সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতিতেই ভারত মহাসাগরেও নিজের আধিপত্য বিস্তারে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছে চীন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আফ্রিকার জিবুতিতে দেশের বাইরে নিজেদের প্রথম ঘাঁটি করেছে চীন, যেখানে সে নৌবহর মোতায়েন করেছে। শ্রীলঙ্কার হাম্বনটোটার পাশাপাশি পাকিস্তান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি হবে বলে তারা আশাবাদী। এর আগে ২০১০ সালে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির ভারত সফরের সময় ছয়টি পারমাণবিক রিএ্যাক্টরের জন্য ৯৩০ কোটি ডলারের ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি করা হয়। তবে তখন থেকেই প্রকল্পটি পরিবেশবাদীদের প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছে। তারা প্রকল্প অঞ্চলের ভূকম্পনজনিত কার্যক্রমের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন এবং জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে পারমাণবিক ক্ষমতার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
×